আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

‘বিদ্যুৎ সরবরাহে রেশনিং করা হচ্ছে’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার আশঙ্কা কাটাতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে রেশনিং করা হচ্ছে, যা সাময়িক পদক্ষেপ। বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার (২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে দেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ২২০ কিলোওয়াট, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫৬০ কিলোওয়াট। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতাভুক্ত শতভাগ যা ২০০৯ সালের শুরুতে ছিল মোট জনসংখ্যার ৪৭ শতাংশ। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিলো ৩ হাজার ২৬৭ মেগাওয়াট, বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। তাছাড়া ২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা ছিলো ১ কোটি ৮ লাখ। ২০২২ সালের এপ্রিলে এসে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৭ লাখ।

 এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি মহল ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ভুয়া জিগির তুলছেন, প্রকৃতপক্ষে ভারত থেকে দেশে আমদানিকৃত বিদ্যুতের পরিমাণ মোটের ওপর মাত্র ১০ শতাংশ। আবার কেউ কেউ বলছেন, দেশে নাকি ১৩ দিনের অকটেন এবং ১৭ দিনের পেট্রোলের রিজার্ভ আছে। অথচ প্রকৃত সত্য হচ্ছে, সামান্য পরিমাণে বুস্টার ছাড়া দেশে অকটেন ও পেট্রোল আমদানিই করা হয় না। প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্রের কনডেনসেট থেকে রিফাইন করে পেট্রোল ও অকটেন তৈরি করা হয়। আবার কেউ কেউ বলছেন, দেশে তেল মজুত আছে ৩৭ দিনের, তারা এ কথা বলছেন জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, দেশে তেল মজুদের সক্ষমতা রয়েছে ৪০ দিনের।

বিবৃতিতে মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির আমলে দেশে লোডশেডিং চলত দিনে ১৩-১৪ ঘণ্টা, কিন্তু বিএনপি নেতারা তাদের সেই অতীতকে ভুলে গেলেও জনগণ তা ঠিকই মনে রেখেছে।সরকারের এ সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বিএনপি। বিদ্যুৎ নিয়ে যারা দুর্নীতির কথা বলেন, তারাই প্রকৃতপক্ষে দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক। শেখ হাসিনা সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে দুর্নীতি করলে দেশে ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হতো না, শিল্পায়নের বিকাশ ঘটত না, অর্থনীতির সমৃদ্ধি এবং প্রবৃদ্ধি ঘটত না।

এসি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন