অভিনেতাদের ডাকে সাড়া দেয়নি বলে কাজ পাইনি : মল্লিকা
একসময় বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকাদের মধ্যে একজন ছিলেন মল্লিকা শেরাওয়াত। তার অভিনীত ছবি আগুন লাগত সিনেমার পর্দায়। এমনকী পরিচালকেরা নিজের ছবিতে অভিনয় করানোর জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়তেন। কিন্তু এখন সেই সেসব পরিচালকই তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যান। পর্দা থেকে একেবারেই গায়েব হয়েছেন এ অভিনেত্রী। বি-টাউনের কোনও ফিল্মি পার্টিতেও দেখা যায় না মল্লিকা শেরাওয়াতকে। কিন্তু কেন এমন পরিণতি?
সদ্য সংবাদ মাধ্যমের এক সাক্ষাৎকরে সেকথা জানাতে গিয়েই বলিউডের অন্দরের পর্দা ফাঁস করলেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি মল্লিকাকে দেখা গিয়েছে রজত কাপুরের ‘আরকে’ ছবিতে। এদিন সেই ছবির প্রচারেই তার বলিউড থেকে গায়েব হওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মল্লিকা স্পষ্ট জানান, ‘এ লিস্টার তথা এক নম্বর অভিনেতারা আমার সঙ্গে কাজ করতে চায়নি, কারণ আমি আপস করতে চাইনি’। তাই আমি কাজ পাইনা। ওরা এমন অভিনেত্রীকেই পছন্দ করে যাদেরকে ওরা কন্ট্রোল করতে পারবে, যারা নানা ধরনের সুযোগ দেবে। আমি তো ওরকম না। আমার ব্যক্তিত্বও ওরকম না। আমি নিজেকে কখনই কারর সন্তুষ্টির কারণ হওয়াতে পারব না।
যদিও এরপর এই আপসের মানে বলতে ঠিক কী বোঝাতে চাইছেন অভিনেত্রী? সংবাদ মাধ্যমের তরফে সে প্রশ্ন করা হলে অভিনেত্রী জানান, ‘ওঠো, বসো, যা খুশি। যদি হিরো তোমায় রাত ৩ টায় ফোন করে বলে আমার বাড়ি এসো। তাহলে তোমাকে যেতেই হবে। তুমি যদি ওই হিরোর সঙ্গে ছবি করো, আর না যাও, তাহলে তোমাকে ছবি থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হবে।
বরাবরই ঠোঁটকাটা গোছের এই অভিনেত্রী। ঠিক কে ঠিক ভুলকে ভুল বলতে একটুও দ্বিধাবোধ করেন না তিনি। এমনকি সহ অভিনেত্রীদের নিয়েও কটাক্ষ করতে পিছপা হন না তিনি। কিছুদিন আগেই দীপিকার ‘গেহেরাইয়া’ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমার মার্ডার যখন এসেছিল তখন সবাই একেবারে হায় হায় করে উঠেছিল চুমু খাওয়ার জন্য, বিকিনি পরার জন্য। দীপিকা পাড়ুকোন গেহরাইয়া-তে যা করেছে আমি ১৫ বছর আগে করেছি মার্ডারে। কিন্তু মানুষ তখন ছিল খুব সংকীর্ণ মনের। শুধু তাই নয় ইন্ডাস্ট্রি আর মিডিয়ার কিছু মানুষ আমাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে। শুধু আমার শীরর আর গ্ল্যামার নিয়ে কথা বলেছে, অভিনয় নিয়ে নয়। আমি কিন্তু ওয়েলকাম, প্যায়ার কা সাইড এফেক্টসের মতো ছবিও করেছি। কিন্তু কেউ তা নিয়ে কথা বলে না।