শিক্ষা

মা-মেয়ের একসঙ্গে এসএসসি পাস

শিক্ষার কোন বয়স নেই। এবার এটাই প্রমাণ করেছেন নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরর ও প্যানেল মেয়র-৩ সাবিয়া সুলতানা। মেয়ে মাফরুহা শাহ’র সঙ্গে এবার এসএসসি পাস করেছেন তিনি।

রোববার (১২ মে) প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, মা পেয়েছেন জিপিএ-৩.৬৪ ও মেয়ে পেয়েছে ৩.৫০।

মা সাবিয়া সুলতানা এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ভোকেশনাল বোর্ডের অধীন শহরের আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে অংশ নেন। মেয়ে মাফরুহা অংশ নেয় শহরের ইসলামিয়া স্কুল থেকে।

মেয়ে মাফরুহা বলে, ‘আম্মু আমাকে পড়ালেখায় সব সময় সহযোগিতা করেছেন। নিজেও আমার সঙ্গে অংশ নিয়ে পাস করেছেন। আমি আমার আম্মুর জন্য গর্ববোধ করি।’

মা সাবিয়া সুলতানা বলেন, ‘শিক্ষার কোনো বয়স নেই। মেয়েদের অনুপ্রেরণায় এবার অংশ নিয়েছিলাম পরীক্ষায়। আল্লাহ সফলতা দান করেছেন।’

মা ও মেয়ের একসঙ্গে পাসের খবরে উভয়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের এক নারী মহিলা সদস্য নুরুন্নাহার বেগম ও তার মেয়ে নাসরিন আক্তারও এক সঙ্গে এসএসসি পাস করেছেন।

 

নারী-মহিলা-সদস্য-নুরুন্নাহার-বেগম-ও-তার-মেয়ে--নাসরিন-আক্তার

তবে ৪৪ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ফলাফলে মেয়ের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন মা। সবাই ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার নুরুন্নাহার বেগমের প্রশংসা করেছেন।

মা নুরুন্নাহার বেগম ও মেয়ে নাসরিন আক্তার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড়া ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। মা কারিগরি বিভাগ থেকে ও মেয়ে স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। নুরুন্নাহার বেগম জিপিএ ৪.৫৪ ও মেয়ে নাসরিনের জিপিএ ২.৬৭। নাসরিনের বয়স ১৮ বছর।

নুরুন্নাহার বলেন, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ছিলেন রক্ষণশীল। এ অবস্থায় পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারিনি। এক পর্যায়ে মেম্বার নির্বাচিত হই। এ নিয়ে দুইবার মেম্বার। সবার অনুমতি নিয়ে আবার পড়াশুনা করি। কেননা, লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করি।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন