আর্কাইভ থেকে ইউরোপ

আইসল্যান্ডে আগ্নেয়গিরিতে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ

আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকিইয়াভিকের দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি আগ্নেয়গিরিতে ভয়ঙ্কর লাভা উদগীরণ শুরু হয়েছে। এর জেরে ক্ষণে ক্ষণেই কেঁপে উঠছে পায়ের তলার জমি। কাঁপুনির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ হাজার।

দেশটির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় রেইকজানেস উপদ্বীপে ফাগ্রাদালসফজাল আগ্নেয়গিরি ফেটে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণে লাভা ছড়িয়ে পড়ে পাঁচ শ’ থেকে সাত শ’ মিটার এলাকা পর্যন্ত। প্রায় দুই শ’টি ফুটবল মাঠ ঢেকে ফেলতে পারে সেই লাভা উদগীরণ।

বিস্ফোরণে লাভা মাঝে মধ্যেই আকাশের দিকে তাক করে ফেটে ফেটে বেরোতে দেখা গেছে। তবে এখনও খুব বেশি ছাই বা ধোঁয়া সৃষ্টি হয়নি। তবে এর জেরে এক সপ্তাহ ধরে অল্প সময়ের জন্য দুলে উঠছে মাটি। এ সময়ে আইসল্যান্ডের মাটি কেঁপেছে সহস্রাধিকবার। গেল এক মাসে রাজধানীতে মাটি কেঁপেছে এক হাজার তিন শ’ ৩৩ বার।

আগ্নেয়গিরিটিতে শেষবারের মত বিস্ফোরণ ঘটেছিল প্রায় আট শ’ বছর আগে।

আইসল্যান্ডের আবওহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নতুন আইসল্যান্ডীয় আগ্নেয়গিরির অগ্নুত্পাত বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলতে পারে।

ঘটনাস্থলের সবচেয়ে কাছের শহর থোরলসফিনে স্থানীয়দের বাড়ি থেকে বেরোতে মানা করা হয়েছে। লাভা উদগীরণে এলাকায় ভয়ঙ্কর গ্যাস বেরিয়ে আসে। তা থেকে বাঁচাবার জন্যই এই সতর্কতা। ঘটনাস্থলের পশ্চিমের এই শহরে বাতাসও ঠিক পশ্চিম দিক দিয়েই বইছে। তাই ওই শহরে গ্যাস বেশি পরিমাণে বেরিয়ে আসতে পারে। যা মানুষের শরীরের পক্ষে খুব খারাপ।

২০১০ সালে এমন ঘটনা ঘটেছিল এইজাফাল্লাওকুল আগ্নেয়গিরির লাভা উদগীরণের সময়। ওই সময় আগ্নেয়গিরিটি নয় লাখ বার লাভা উদগীরণ করেছিল। প্রচুর ধোঁয়া ও ছাই বেরিয়েছিল। এলাকার বহু মানুষকে ঘর ছাড়া করেছিল। অগ্নুৎপাতের ফলে এয়ার ট্রাফিকের সৃষ্টি হয়। এতে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এবার লাভা উদগীরণ অতটা বেশি হয়নি। তবে এর প্রভাব বেশি মারাত্মক বলে এতবার ভূমিকম্প হওয়ার কথা জানাচ্ছে ভূবিজ্ঞানীরা।

ইউরেশিয়া ও উত্তর আমেরিকার টেকটনিক প্লেটের ঠিক মাঝে আইসল্যান্ডের অবস্থান। এই দুটি প্লেটই মাঝে মাঝে বিপরীত দিকে সরে যায়। তাই সেখানে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরিতে লাভা উদগীরণ বেশি হয়।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন