জাতীয়

‘ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আর দৃঢ় করতে চান ডোনাল্ড লু’

‘অতীত নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চলমান সম্পর্ক কীভাবে আরও সুদৃঢ় করা যায় তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’’

বুধবার (১৫ মে) সকালে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে ডোনাল্ড লু’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এসব কথা বলেন।

এর আগে, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডোনাল্ড লু।  পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি লু’র সঙ্গে ছিলেন ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর চিফ অব স্টাফ নেইট হাফট, রাজনৈতিক ইউনিটের প্রধান সারাহ এল্ডরিস, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর আর্তুরো হাইন্স।

নির্বাচনের আগের অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র নেই উল্লেখ করে সাবর হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের এমন কিছু বিষয় আছে, যেগুলো অভিন্ন। আবার কিছু বিষয়ে তাঁদের মতের ভিন্নতা থাকতে পারে। যেমন বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে তাঁদের অস্বস্তি ছিল। নির্বাচন নিয়ে তাঁদের অবস্থান ছিল। এখন সেই অবস্থান নেই। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে।’

অতীত নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি উল্লেখ করে সাবের হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের যে সম্পর্ক আছে, এটাকে কীভাবে আগামীদিনে আরও এগিয়ে নিতে পারি এবং সেখানে স্বাভাবিকভাবে যে বিষয়গুলোতে আমাদের অবস্থান ভিন্ন যেমন জলবায়ু পরিবর্তন এবং সেটার অভিঘাত মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে দুই দেশ আরও কীভাবে কাজ করতে পারে, মূলত আমরা সেটা নিয়ে আলাপ করেছি।’

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই আমরা জলবায়ু নিয়ে কথা বলি পরিবেশের বিষয়টি চলে আসে। পরিবেশ, বন এবং জীববৈচিত্র্য। আমরা চাচ্ছি আমাদের আগামীদিনের যে সহযোগিতা সেটাকে হয়তো আমরা একটা কাঠামোর মধ্যে আনা চেষ্টা করবো। আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপের মতো কিছু একটা থাকতে পারে। আমরা তিন/চার অথবা পাঁচ বছরের একটা কর্মসূচি নেবো। প্রতি বছরের সেই কর্মসূচির অধীনে আমরা কী কী কাজ করবো সেটা থাকবে। আমরা এগুলোই বলেছি।’

জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় এমডিবির অর্থায়ন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বহুপক্ষীয় সংস্থা এমডিবি কীভাবে অর্থায়ন করবে, তা বড় একটি বিষয়। আগে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় চাহিদা ছিল বিলিয়ন ডলার। এখন তা ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। সরকার এখন গবেষণার ওপর জোর দিচ্ছে।’

এসময় পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, এসব বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে আবার বসবেন। তখন সবকিছু সুনির্দিষ্ট হবে। কোন কোন খাতে সহযোগিতা হবে, তা নির্ধারণ করা হবে। ডোনাল্ড লু জোর দিয়েছেন, ভবিষ্যতে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যা-ই বিনিয়োগ হোক, তা যেন প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার একই জায়গায়। সেটি হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। এ বিষয়ে কীভাবে কাজ করা হবে, কৌশল কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সাংবাদিকদের ডোনাল্ড লু যা বললেন

এর আগে, বৈঠক শেষে  সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড ‍লু বলেন, ‘পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর চমৎকার আলোচনা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ এসময় সাংবাদিকরা আরও কিছু বিষয়ে প্রশ্ন করলে  কোনো জবাব দেননি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন