গ্রেপ্তারের পর পূত্রবধু হত্যা মামলার আসামি শ্বাশুড়ির মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার অবস্থায় পূত্রবধু হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু হয়েছে। মৃত ঐ আসামির নাম সুরাইয়া খাতুন (৫২)।
গেলো শুক্রবার (১৭ মে) সকালে সুরাইয়া খাতুনকে মৃত অবস্থায় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় র্যাব। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসার পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার মো. ফাহিম ফয়সাল।
জানা যায়,গেলো ১৬ মে রাতে র্যাব সদস্যরা রেখা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ হত্যা মামলার প্রধান আসামি তাইজুল ইসলাম মিলন ও শাশুড়ি সুরাইয়া খাতুনকে আটক করে। আটক দুজনকে র্যাব হেফাজতে রাখা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে রেখা আক্তারের সাথে হত্যা মামলার প্রধান আসামি তাইজুল ইসলাম মিলনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মিলন দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে। রেখার পরিবার মিলনকে অটো কিনতে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু রেখার পরিবারের দাবি ওই টাকা দিয়ে মিলন অটো না কিনে আরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।
এরই মধ্যে রেখা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল রাতে রেখাকে যৌতুকের টাকার জন্য তার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি অমানবিক নির্যাতন করেন। এরপর রাতেই তাকে আহত অবস্থায় ইশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় তার স্বামী ও শাশুড়ি হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে গেলেও শ্বশুর আজিজুল ইসলামকে হাসপাতালের কর্মচারীরা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন এসময়ে প্রচার করে রেখা ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু চিকিৎসক জানান,রেখার গলা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। খবর পেয়ে রেখার পরিবারের লোকজন মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে ময়নাতদন্তের পর দাফন করে।
প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় গেলো ২ মে রেখার মা বাদি হয়ে ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তিনজনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেন।
আই/এ