‘নিপুণের পিছনে বড় শক্তি আছে’ পদ স্থগিতের পর ডিপজলের মন্তব্য
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচনে নিপুণ আক্তারকে হারিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর বিজয়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গলায় মালা পড়িয়ে বরণও করেছিলেন পরাজিত নিপুণ।
তবে নির্বাচনের এক মাস যেতে না যেতেই অনিয়মের অভিযোগে আদালতে রিট করেন এই চিত্রনায়িকা। যার প্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে ডিপজলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (২০ মে) হাইকোর্টের আদেশের পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হাইকোর্ট যেহেতু রায় দিয়েছেন এখানে কিছু বলার নাই। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে দুই এক দিনের মধ্যে চেম্বার জজ আদালতে যাব।’
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ফুলের মালা দিয়ে নতুন কমিটিকে বরণ করে নেওয়ার পর আবার কমিটি বাতিল চাওয়ার পেছনে বড় শক্তি আছে বলে মনে করেন ডিপজল। ডিপজলের ভাষ্য, ‘এর পেছনে অবশ্যই বড় শক্তি আছে। যেহেতু সে দেশের বাইরে থেকে এসব করছে সেহেতু বুঝতে হবে তাঁর পেছনের হাত লম্বা।’
নিপুণের এমন আচরণ নিয়ে সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেছেন ডিপজল। অভিনেতা বলেন, ‘সোহেল রানা ভাইসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র শিল্পীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারাও বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত। এই দুই বছরে যে নোংরামি হয়েছে এর আগে এমন নজির নেই। বাংলাদেশের ফিল্মের মানুষ এমনটা করতে পারেন না। আমার মনে হয়, যারা হিন্দি ছবি বাংলাদেশে আনার জন্য পায়তারা করছে এটা তারই একটা অংশ হতে পারে।’
এর আগে ২০২২-২৪ সালের নির্বাচনেও সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে মামলা চলে উচ্চ আদালতে। পরে আদালতের হস্তক্ষেপে দায়িত্ব পালন করেন নিপুণ। তখন প্রাথমিক ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগে আপিল বোর্ড জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে এবং নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করেন। ঐ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জায়েদ খান হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিপুণ সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন।
এসআই/