আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

বরিশালে হোটেল থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার

বরিশাল নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আল আমীন (২৪) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রীসহ ৬ জন কে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মৃত্যুর ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবী করেছে মৃতের স্বজনরা। 

শনিবার (২০ মার্চ) দুপুরে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন শরিফ হোটেলের চতুর্থ তলার ১২৬ নং রুম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

নিহত আল আমিন উজিরপুর উপজেলার পরমান্দশাহা গ্রামের মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে ও ঢাকার বাংলামোটর এলাকার ট্রান্সমিটার কোম্পানির  প্রিন্স কর্পোরেশনে জুনিয়র অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। 

পুলিশ ও হোটেল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ মার্চ) রাতে স্ত্রীকে নিয়ে শরীফ হোটেলের ১২৬ নং রুমে ওঠেন আল আমিন। এরপর শনিবার দুপুরে আল আমিনের মৃত্যুর খবর শুনে পুলিশ কে জানান হোটেল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আল-আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান মীম, তারই এলাকার বাসিন্দা মানিক, সুজন ও সোহেলসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ এয়ারপোর্ট থানায় নিয়ে যায়। 

নিহত আল আমিনের বোন লাকি আক্তার বলেন, কয়েক মাস যাবত প্রেমের সম্পর্কের পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় আল আমিন ও নগরীর নিউ সার্কুলার রোড এলাকার হার্ট ফাউন্ডেশন গলির বাসিন্দা কবির হোসেনের মেয়ে এবং সরকারি বরিশাল কলেজের ছাত্রী ইসরাত জাহান মীম। তবে এই সম্পর্ক ও বিয়ে মেনে নেয়নি মেয়ের পরিবার। ঢাকা থেকে এসে শুক্রবার এই হোটেলে ওঠে আল আমিন ও তার স্ত্রী। আমরা ওর স্ত্রীকে বার বার বলেছি যে আমাদের কিন্তু একটা ভাই। ওর যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলছিলাম। ঢাকা থেকে আল আমিনকে ডেকে এনে এই হোটেলে বসে ওই মেয়ের সহযোগিতায় এলাকার কিছু লোকজন এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে আল আমিনকে। আমরা সুষ্ঠ বিচার চাই, হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। 

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএমপি'র এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ হালদার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আল আমিনের মরদহ  বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় পেয়েছি। তার গলায় একটি দাগ রয়েছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা এখন কিছুই বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে । 

আর আল আমিনের মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি। 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন