আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

এবার চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব

রিফাইনারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন দেশের বাজারে চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। তবে কেজিতে কত টাকা বাড়বে তা চিঠিতে উল্লেখ্ করা হয় নি। একই সঙ্গে আমদানি শুল্ক মওকুফ এবং ব্যাংক রেটে ডলার চেয়েছে।

গেলো বুধবার (১০ আগস্ট) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব গোলাম রহমান এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে দিয়েছেন ।

চিঠিতে বলা হয়, চিনির রিফাইনারিগুলো বিলম্বে মূল্য পরিশোধের সুবিধা নিয়ে ঋণপত্র খোলার পর মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে বিপুল লোকসান হচ্ছে কোম্পানিগুলোর। অপরিশোধিত চিনি আমদানির জন্য যখন ঋণপত্র খোলা হয়, তখন ডলারের দাম ছিল ৮৩-৮৫ টাকা। কিন্তু এখন ওইসব এলসির মূল্য পরিশোধের সময় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আমাদের কাছ থেকে প্রতি ডলার ১১৫ টাকা হারে বিনিময়মূল্য আদায় করছে। এতে চিনি আমদানিতে ব্যয় হচ্ছে বাড়তি অর্থ।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আগে টনপ্রতি চিনি আমদানিতে শুল্ক দিতে হতো ২২ হাজার থেকে ২৩ হাজার টাকা। ডলারের দাম বাড়ায় এখন শুল্ক দিতে হচ্ছে টনপ্রতি ২৮ হাজার থেকে ২৯ হাজার টাকা। এতে পরিশোধন শেষে প্রতিমণ চিনির মিলগেট দাম দাঁড়াচ্ছে ৩ হাজার ৭০৩ থেকে ৩ হাজার ৮৮৮ টাকা। কিন্তু চিনি বিক্রি করতে হচ্ছে ২ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার ৯২০ টাকায়। এ পরিস্থিতিতে চিনির দাম বাড়াতে না পারলে লোকসান বেড়ে কারখানাগুলো দেউলিয়ায় পরিণত হবে।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্যমতে, দেশে বছরে প্রায় ১৮ লাখ টন পরিশোধিত চিনির প্রয়োজন হয়। এর প্রায় ৯৮ শতাংশ করা হয় আমদানি। এসব চিনির বেশির ভাগই আসে ব্রাজিল থেকে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন