১০ ফুট পানির নিচে সুন্দরবন
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সৃষ্ট জলোছ্বাসে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা ৭ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানিতে নিমজ্জিত থাকায় এসব প্রাণীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বন বিভাগ। এ ছাড়া বনের ভিতরে মিঠা পানির উৎস লবণাক্ত পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বন্যপ্রাণী,বনজীবী ও বনকর্মীদের খাবার পানি নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
সোমবার (২৭ মে) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুন্দরবন বন বিভাগের বনসংরক্ষক মিহির কুমার দে।
বন বিভাগ জানায়, গতকাল বিকেল নাগাদ সুন্দরবেনের বিভিন্ন এলাকায় ৭ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত পানির নিচে নিমজ্জিত হয়ে যায়। বিশেষ করে কটকা, কচিখালি, নীলকমল, মান্দারবারি, হলদিবুনিয়া এলাকায় সবথেকে বেশি পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব এলাকা হরিণ, বানর, শুকরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর অভয়ারন্য। পানিতে নিমজ্জিত থাকায় এসব প্রাণীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বন বিভাগ।
বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দে জানান, পানির উচ্চতা ৭ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত হয়েছে। বনে বাঘ শাবক, হরিণ শাবক কিংবা শকুন শাবক এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণী আছে। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে বন্যপ্রাণীরা এখানে হয়তো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তবে গাছপালার খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। এসব স্থানে পানির যে উচ্চতা এবং যে তীব্র গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে নিশ্চিতভাবে বলা যায় বন্যপ্রাণীর যথেষ্ট ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
আই/এ