জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে)। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল বিক্ষুব্ধ সেনা কর্মকর্তার হাতে নিহত হন তিনি।
মঙ্গলবার (২৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়। এ ছাড়া বুধবার (২৯ মে) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
দিবসটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশজুড়ে দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন এবং দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। এ ছাড়া সকাল ১০টায় দলের নেতাকর্মীরা শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পাশাপাশি নেতাকর্মীরা জিয়ার কবর জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করবেন।
আগামী ৩১ মে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে দলটি। বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলো জিয়ার কর্মকাণ্ড নিয়ে সেমিনার, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নেতারা আজ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করবেন।
এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই মহান উদার গণতান্ত্রিক নেতা জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি। এই ষড়যন্ত্রকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এই মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে জাতি একজন মহান দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী নেতাকে হারিয়েছে।’জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। জন্ম ও শৈশবে তার ডাক নাম ছিলো কমল। তার পিতার নাম ছিল মনসুর রহমান এবং মাতার নাম ছিল জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। পাঁচ ভাইদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়।
কেএস/