বিনোদন

প্রখ্যাত বাঙালি নির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রয়াণ দিবস আজ

ঋতুপর্ণ ঘোষ বাঙালি পরিচালকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়, আলোচিত ও বিতর্কিত চলচ্চিত্র পরিচালকদের একজন। তাঁর বৈচিত্র্যময় জীবন অনেকে সাদরে গ্রহণ করেছেন, অনেকের কৌতূহলের খোরাক জুগিয়েছে। আবার অনেকে আড়চোখে তাকিয়ে বা দূরে থেকে সমালোচনা করেছেন। কিংবদন্তী এই নির্মাতার ১১ তম প্রয়াণ দিবস আজ।  ২০১৩- এর ৩০ মে স্বনামধন্য তাঁর জীবনাবসান হয়।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্র ঋতুপর্ণ ঘোষের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট হিসেবে। ১৯৯২ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম সিনেমা ‘হিরের আংটি’। দ্বিতীয় ছবি ‘উনিশে এপ্রিল’ মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। এই ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ কাহিনিচিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

এরপর একে একে ‘শুভ মহরত’ (২০০৩), ‘রেইনকোট’ (২০০৪), ‘অন্তরমহল’ (২০০৫), ‘দ্য লাস্ট লিয়ার’ (২০০৭), ‘খেলা’ (২০০৮), ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’ (২০০৮), ‘আবহমান’ (২০০৯), ‘নৌকাডুবি’ (২০১০), ‘মেমোরিজ ইন মার্চ’ (২০১১), ‘চিত্রাঙ্গদা’ (২০১২), ‘জীবনস্মৃতি’ (২০১২) ছবি পরিচালনার মধ্য দিয়ে নিজেকে কিংবদন্তি পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।

দীর্ঘ কর্মজীবনে ১২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া বার্লিন, লোকার্নো, শিকাগো, বুসান, বোম্বে প্রভৃতি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা অর্জন করেন গুনী এই নির্মাতা।

সিনেমা পরিচালনা ছাড়াও ঋতুপর্ণ ঘোষ প্রথম অভিনয় করেন হিমাংশু পারিজা পরিচালিত ওড়িয়া ছবি ‘কথা দেইথিল্লি মা কু’তে। ২০১১ সালে তিনি কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের আরেকটি প্রেমের গল্প এবং সঞ্জয় নাগের ‘মেমোরিজ ইন মার্চ’ ছবিতে অভিনয় করেন। এ ছাড়া তাঁর পরিচালিত ও মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ ছবি ‘চিত্রাঙ্গদা’তেও তিনি অভিনয় করেন।

এসআই/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন