বেনজীর আহমেদের দেশত্যাগের বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বর্তমান অবস্থান নিয়ে সরকার নিশ্চিত নয়। তার দেশত্যাগের বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। ব্যক্তির অপরাধের দায় বাহিনী নেবে না। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ীই বেনজীর আহমেদের বিচার হবে। বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
শনিবার (১ জুন) দুপুর দেড়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) ছাত্রলীগ কর্তৃক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত 'আমাদের বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক বক্তৃতা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমাদের পুলিশ বাহিনী অনেক কষ্ট করে। জঙ্গি-সন্ত্রাস দমন, কোভিডসহ যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তারা জীবন বাজি রেখে কাজ করেছে। কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে তার দায় প্রতিষ্ঠান নেয় না।
তিনি আরও বলেন, সে এখনো দেশে আছে নাকি বিদেশ চলে গেছে এটা আমি জানি না।
এদিকে, দেশে নেই পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। গেলো ৪ মে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেছেন। এদিন সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে করে সিঙ্গাপুর গেছেন সাবেক এই আইজিপি। ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় ৬২১ বিঘা জমি, ঢাকার গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব, ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ৩টি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসা করার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের সন্ধান পেয়েছে দুদক। সংস্থাটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে, এর আগেই দেশ ছেড়েছেন তিনি।
২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন বেনজীর আহমেদ। এর আগে তিনি র্যাবের মহাপরিচালক ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।যার মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও রয়েছে। ওই সময় দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের পাশাপাশি র্যাবের সাবেক কর্মকর্তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েন। যুক্তরাষ্ট্র যখন নিষেধাজ্ঞা দেয়, তখন আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন বেনজীর আহমেদ।
টিআর/