১০ মাস ধরে নষ্ট পূর্বাভাসে ব্যবহৃত রাডার
কক্সবাজারের একমাত্র ঝড় সতর্কীকরণ রাডার স্টেশনটি ১০ মাস ধরে নষ্ট রয়েছে। ফলে দুর্যোগকালীন সময়ে জরুরী আবহাওয়া বার্তা পাচ্ছেন না সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলে সম্প্রদায় এবং উপকূলীয় লোকজন। বৈরী আবহাওয়ার সময় তাদের সময় কাটে আতঙ্কে।
রোববার ( ২জুন) বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেন আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার কেন্দ্রের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো: আবদুল হান্নান
জানা যায়,২০০৭ সালে কক্সবাজারের একমাত্র ঝড় সতর্কীকরণ রাডার স্টেশনটি স্থাপন করা হয়েছিলো । মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে এটি অচল হয়ে পড়ে। সেই থেকে প্রায় এক বছরেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি রাডার স্টেশনটি।
এ বিষয়ে এমভি সাইফুল ফিশিং বোটের মালিক মোহাম্মদ আরমান জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়সহ নানা দুর্যোগের আগাম বার্তা সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা কক্সবাজার ‘রাডার স্টেশন’। কিন্তু গেলো ১০ মাস ধরে মেয়াদত্তীর্ণ হয়ে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে রাডার স্টেশনটি।
সহকারী আবহাওয়াবিদ মো: আবদুল হান্নান জানান, তিনি রাডারের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছেন। এ স্টেশন থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরবর্তী সমুদ্র এলাকার আবহাওয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু এটি অচল থাকায় আবহাওয়ার সার্বিক তথ্যাদি যথাযথ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও দেশের অন্য রাডার স্টেশনগুলো সচল থাকায় আবহাওয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্যাদি পাওয়া যাচ্ছে। কক্সবাজারের রাডারটি সচল থাকলে আরও প্রকৃত তথ্যাদি সরবরাহ করা সম্ভব হতো।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, ভীর সমুদ্রে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়সহ নানা দুর্যোগের আগাম বার্তা সংগ্রহে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা কক্সবাজারের রাডার স্টেশনটি অচল রয়েছে। দীর্ঘদিনের এই দুরবস্থায় চলছে কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ বিষয়ে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, জেলার একমাত্র রাডার স্টেশনটি দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়েছেন পর্যটকসহ স্থানীয়রা। তাহলে আবহাওয়া বার্তাও সঠিক সময়ে পাওয়া যাবে। এমনটি প্রত্যাশা জেলে সম্প্রদায় ও উপকূলবাসী
আই/এ