আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

গ্রামীণ টেলিকমে অনিয়মে দুদকের তলব

গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলামসহ ৪ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতসহ একাধিক অভিযোগ অনুসন্ধানে এ তলব করা হয়েছে। 

আজ সোমবার (২২ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই চার কর্মকর্তার ঠিকানায় তলবি চিঠি পাঠানো হয়েছে। দুদক সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

আগামী ২৫ আগস্ট তাদের দুদক কার্যালয়ে এসে বক্তব্য দিতে নির্দেশনা দিয়েছে দুদক।

ওইদিন গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলামকে সকাল সাড়ে ১০টায়, প্রতিষ্ঠানের আইনজীবি মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফকে বেলা সাড়ে ১১টায় এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলামকে দুপুর দেড়টায় দুদকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

দুদকের নির্দেশনায় বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট, তাদের পাওনা বাবদ ৩৬৪ কোটি ১৭ লাখ ৯ হাজার ১৪৬ টাকা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন, তাদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দকৃত সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাতসহ উক্ত কোম্পানি হতে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য গ্রামীণ টেলিকমের চার সদস্যকে তলব করা হয়েছে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের বিরুদ্ধে শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে এ খাতের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের টিম গঠন করেছে দুদক।

টিমে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। টিম প্রধান করা হয়েছে উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানকে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার ও নূরে আলম সিদ্দিকী।

 

বিআ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন