পান ব্যবসায়ীর ৩৪ লাখ টাকা লুট, ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার
রাজশাহী নগরীতে ভোর ৫টার দিকে তিনপান ব্যবসায়ী ঢাকায় পান বিক্রি করে ফেরার পথে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৩৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাত দল। পোস্টাল একাডেমীর সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার পূর্ব মোল্লাপাড়ার রাজ্জাকের ছেলে আশিক ইসলাম (২৪), আজাদ আলীর ছেলে হৃদয় (২৪), রাজপাড়া থানার আলীগঞ্জ মধ্যপাড়ার আসলাম আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (২১), আসলামের ছেলে আব্দুর রহিম (২০), ডিঙ্গাডোবা ঘোষ মাহালের লোকমানের ছেলে রিকো ইসলাম (২১) ও চন্ডীপুর সুফিয়ানের মোড়ের মৃত এবাদুলের ছেলে ইয়ামিন (২০)।
আজ সোমবার (২২আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী মহানগর পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী বিপিএম জানান, রাজশাহী নগরীর পবা থানার একলাছ মোল্লাসহ ৮৫ জন পান ব্যবসায়ী একটি সমিতি গঠন করে রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর থানার দাওকান্দি বাজারে পানের ব্যবসা করতেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহীর বিভিন্ন অঞ্চল হতে পান ক্রয় করে ঢাকার শ্যাম বাজারে বিভিন্ন আড়তে বিক্রি করেন। সোমবার ভোর সোয়া ৫ টায় রায়হান আহম্মেদ (২৬), শহিদুল ইসলাম (৩০) ও আমিনুল ইসলাম (২৭) ঢাকায় পান বিক্রি করে রাজশাহী শিরোইল বাস টার্মিনালে আসেন। সেখান থেকে তারা একটি সিএনজি ভাড়া করে দাওকান্দি বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এক সময় তারা লক্ষ্য করেন, তাদের সিএনজিকে একটি নীল রংয়ের অ্যাম্বুলেন্স অনুসরণ করছে। ভোর সাড়ে ৫ টায় নগরীর শাহমখদুম থানার পোস্টাল একাডেমির সামনে তারা পৌঁছালে পেছনে থাকা অ্যাম্বুলেন্সটি হঠাৎ সামনে এসে তাদের গতিরোধ করে। সিএনজি থামার পর অ্যাম্বুলেন্স থেকে ৬-৭ জন ডাকাত দল বের হয়ে চাইনিজ কুড়াল, হাসুয়া, চাকু, ছোরা ও লোহার রড নিয়ে তাদের ঘিরে ধরে। এসময় পান ব্যবসায়ী রায়হান পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ডাকাতরা তাকে মারধর করে ১৪ লাখ ২৭ হাজার টাকাসহ অন্যদের কাছে থাকা মোট ৩৪ লাখ ২৭ হাজার টাকা ডাকাতি করে।
পরে এ বিষয়ে পান ব্যবসায়ী এখলাছ শাহমখদুম থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগ পাওয়ার পর শাহমখদুম ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নূরে আলম, সহকারি পুলিশ কমিশনার সুকুমার মোহন্ত, শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান ও শাহমখদুম থানা পুলিশের একটি টিম অভিযানে নামে। থানা পুলিশ সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ দেখে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত এ্যাম্বুলেন্সসহ ডাকাতদের সনাক্ত করে। পরে নগরীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ ডাকাতকে আটক করে পুলিশ। একই সাথে উদ্ধার করা হয় ১৬ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪০টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র ও জব্দ করা হয় এ্যাম্বুলেন্স।