দেশজুড়ে

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, নবজাতককে পেটে রেখে সেলাই

নোয়াখালী চাটখিলে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় নবজাতককে পেটে রেখে আবার সেলাই করে দেয়া হয়। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

শুক্রবার (৭ জুন) উপজেলার খিলপাড়া বাজারের ওয়াহাব তৈয়েবা মেমোরিয়াল হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক।

নিহতের নাম সামিয়া আক্তার (২৫)। তিনি উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের দত্তেরবাগ গ্রামের নতার বাড়ির মো. মুরাদের স্ত্রী।

নিহতের স্বামী মুরাদ অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সামিয়াকে তিনি ওয়াহাব তৈয়েবা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে দুপুর ২টার দিকে ডাক্তার ফারহানা তাকে সিজার করেন। সেখানে অপারেশনের আগে অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার ছাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার দিয়ে ভুলভাবে সামিয়ার শরীরে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করলে সে মারা যায়। তারা রোগীর শরীরে যে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করে তা ঠিকমত হয়নি। তারা সিজার করে, নবজাতককে পেট থেকে বের করেনি। তারা দেখেছে রোগী মারা গেছে। এরপরও পুনরায় সিজারের স্থানে সেলাই দিয়ে আমাদেরকে কুমিল্লা পাঠায়।

মুরাদ আরও বলেন, পরে সন্ধ্যার দিকে আমরা সামিয়ার মরদেহ নিয়ে হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেই। ওই সময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানায়, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। শনিবার (৮ জুন) সকালের দিকে সামিয়াকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে।

ওয়াহাব তৈয়েবা মেমোরিয়াল হাসপাতালের ম্যানেজার মহিউদ্দিন রাসেল অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমাদের অ্যানেসথেসিয়া ও সার্জন দু'জনই অভিজ্ঞ ছিলেন। ঊনারা গত ১০ মাস ধরে এখানে অপারেশন করে আসছেন। রোগীর অ্যানেসথেসিয়া করা হলে রোগী স্ট্রোক করে। এ কারণে আর সিজার করাতে পারেনি ডাক্তার। স্ট্রোক করার কারণে যেহেতু আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে। তাই রোগীকে এখানে আর রাখা হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা শহর মাইজদীতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রোগীর স্বজনেরা তাকে কুমিল্লা নিয়ে যায়।

কেএস/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন