‘কাওসার মানসিকভাবে স্ট্রেসড ছিলেন’
রাজধানীর বারিধারায় সহকর্মী মনিরুল ইসলামকে কাওসারকে ৮ থেকে ৯ রাউন্ড গুলি ছুড়ে হত্যা করে আরেক কনস্টেবল কাউসার আলী। এ সময় কাওসার মানসিক চাপে ছিলেন। জানালেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন।
রোববার (৯ জুন) দুপুরে ডিএমপির সদর দপ্তরে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, দুইজনের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে তর্কের কারণে এমনটা হয়েছে। সাময়িক উত্তেজনার কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সুনিশ্চিত করে জানাতে তদন্ত চলছে।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, কাওসার ও মনিরুলের মধ্যে ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ ছিল না। কাওসার বেশ নিয়মতান্ত্রিক ছিলেন। তিনি মানসিকভাবে স্ট্রেসড ছিলেন। প্রায় ৮ থেকে ৯ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েন কাওসার। তিনি জানেন না কীভাবে হয়ে গেল এমনটা। তবে এ ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত।
শনিবার রাতে বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে অন্যান্য পুলিশ সদস্যের মতো ছিলেন কনস্টেবল মনিরুল এবং কাওসার। রাত পৌনে ১২টার দিকে হঠাৎই সহকর্মী মনিরুলকে নিজের বন্দুক দিয়ে গুলি করেন কনস্টেবল কাওসার। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনিরুল।
এসময় হামলাকারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে পাশে থাকা জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন আহত হন। তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আটক করা হয়েছে হামলাকারী কাওসারকে।
নিহত মনিরুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনায়। তার তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে।
টিআর/