আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ওয়াসা এমডির ব্যাংক হিসাব তলব

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ (বিএফআইইউ)। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) তার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদেরও ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, তাকসিম এ খানের ব্যাংক হিসাব চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ। চিঠিতে তাকসিম এ খানের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর- ২৬৯৬৫৩৬০৯০৩৪৪, পাসপাের্ট নম্বর- ই০০২৩২৮৩, ওসি২২৬০৩৫২, ওসি৭০৭২৬২৬, জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকসিম এ খানের পরিবারের সদস্যদের বর্তমানে ও আগে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য ও দলিলাদি ও শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।   

এর আগে গেলো ১৭ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিম এ খানকে গেলো ১৩ বছরে কী পরিমাণ বেতন-বোনাস ও টিএডিএসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে, সে তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট। ঢাকা ওয়াসা বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওই সব তথ্য প্রতিবেদন আকারে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দিয়েছিলেন। 

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার ও সার্ভিস (বেতন ও সুবিধাদি) অর্ডার লঙ্ঘন করে ওয়াসার এমডিকে অযৌক্তিক ও উচ্চ বেতন দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন গেলো মাসে ওই রিট করেন। 

জানা গেছে, গেলো ১৩ বছরে ১৪ বার পানির দাম বাড়িয়েছে ঢাকা ওয়াসা। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ানো হয়েছে সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের বেতনও।

সর্বশেষ করোনা মহামারির মধ্যে এক লাফে ওয়াসার এমডির বেতন বাড়ানো হয়েছে পৌনে ২ লাখ টাকা। এ বৃদ্ধির পর ওয়াসার এমডি হিসেবে তার মাসিক বেতন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকায়। এ হিসাবে গেলো ১২ বছরে তাকসিম এ খানের মাসিক বেতন বেড়েছে ৪২১ শতাংশ। 

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এরপর ধাপে ধাপে সময় বাড়িয়ে তিনি এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। বিতর্কিত তাকসিম এ খানের পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো, ঠিকাদার নিয়োগে সিন্ডিকেট, ঘুষ লেনদেন, পদ সৃষ্টি করে পছন্দের লোককে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, অপছন্দের লোককে ওএসডি করাসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে।

 এসি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন