আর্কাইভ থেকে দুর্ঘটনা

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যের সংখ্যা বেড়ে ১১

ফরিদপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নারী-শিশু ও দুই শিক্ষার্থী রয়েছেন। 

রোববার (২১ মার্চ) সকালে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত হন তারা। সকালে মধুখালীতে ট্রাক-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ৯ জন এবং ভাঙ্গা উপজেলার বিশ্বরোডে প্রাইভেটকার-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থী নিহত হন।

জানা গেছে, মধুখালীতে নিহত ৯ জনের মধ্যে একই পরিবারের ৬ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। চারজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণা করা হয়। বাকি তিনজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এক পরিবারের নিহত ৬ জন হলেন-তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য মোহর মা মিয়াজান বিবি (৬৮), বোন আমেনা বেগম (৪৮), স্ত্রী কুটি বিবি (৪২), মেয়ে মরিয়ম (২৫), জামাতা জুয়েল রানা (৩২) এবং মরিয়ম-জুয়েলের চার মাসের শিশু মুজাহিদ। নিহত অপর তিনজন হলেন-আইনজীবী আব্বাস উদ্দিন (৪৮), মাতুব্বর নজরুল ইসলাম (৬০) ও গাড়িচালক আল আমিন (৩০)। নিহতদের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেষপুর উপজেলার কাজীর বেড়া ইউনিয়নের সামন্তখোলা গ্রামে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কুদ্দুছ (৩০), নূরুন্নাহার (৩৫), আলামিন (২৫), রাশিদা (৩৫) ও আবদুল্লাহ (৪)।

কমিরপুর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কাওসার হোসেন বলেন, ঝিনাইদহ থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝকান্দি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ট্রাকটি জব্দ করলেও চালক পালিয়ে গেছেন। 

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, নিহত প্রত্যেককে ১৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। অন্যদের আর্থিক পরিস্থিতি দেখে সহযোগিতা করা মধুখালীতে নিহত নয়জনের মধ্যে একই পরিবারের ছয়জন রয়েছেন।

অপরদিকে একইদিন ভাঙ্গা উপজেলার বিশ্বরোড এলাকায় প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে অনার্স পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ঢাকা কলেজে অনার্সে অধ্যয়নরত কয়েক বন্ধু মিলে উপজেলার কাউলিবেড়া গ্রামে পিকনিকের আয়োজন করেন। সারারাত বন্ধুদের সঙ্গে কাটিয়ে ভোরে মোটরসাইকেলযোগে ভাঙ্গার উদ্দেশে রওনা দেন তিন বন্ধু। ভাঙ্গা গোলচত্বরের কাছে মোটরসাইকেলটি পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা রনি ফকির (২০) ও শাকিল খান (২২) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত হন অপর বন্ধু অপু (২০)। অপুকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন