ক্রিকেট

জিততে জিততে হেরে গেলো নেপাল

প্রথম ইনিংসে দারুণ বলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৫ রানে আটকে দেয় নেপাল। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং শুরু করে দলটি। কিন্তু ইতিহাস গড়তে শেষ বলে ব্যর্থ হয় নেপাল। শেষ বলে ১ রান নিতে পারলেই হয়ে যেত ড্র। কিন্তু সেই ১ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন গুলশান। স্বপ্ন ভেঙে যায় নেপালের।

১৮ বলে ১৮ রানের সমীকরণ নেমে আসে ১২ বলে ১৬ রানে। নরকিয়ার করা ১৯তম ওভারে ফেরেন কুশাল মাল্লা। এরপরেই সোমপাল কামির ১০৫ মিটারের ছক্কা বদলে দেয় দৃশ্যপট। সেই ওভারে আসে ৮ রান। শেষ ওভারে নেপালের দরকার ছিল আরও ৮ রান। ওটনিয়েল বার্টম্যানের সেই ওভারের প্রথম দুই বল ছিল ডট। পরের বলেই গুলশান ঝায়ের চার।

শেষ বলে দরকার ছিল দুই রান। কিন্তু বার্টম্যানের শেষ বলে ব্যাটে বলে হয়নি। সেখানেই রানআউট হয়ে ১ রানে হারের হতাশায় ডুবতে হয় নেপালকে। সেইসঙ্গে এবারের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় তাদের।

এর আগে প্রথমে টস হেরে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরু থেকেই চেপে ধরেন কুশাল ব্র‍ুটালরা। প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে আসে ৫৭ রান। এরপর ১১.২ ওভারে এসে দ্বিতীয় উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কুশালের শিকার হয়ে ফেরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। ২২ বলে ১৫ রানে ফেরেন তিনি। এর আগে ৩.৪ ওভারে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ডি কক ফিরলে, দীপেন্দ্রর প্রথম শিকার হয়ে ফেরেন ১০ রানে।

তবে এরপরই প্রোটিয়াদের আরও চেপে ধরেন নেপালের স্পিনাররা। হেনরিখ ক্লাসেন ৩ ও মার্কো জানসেন ফেরেন ১ রানে। একপাশ আগলে রাখা রেজা হেনড্রিকসও ফেরেন এর মাঝেই। ১৫.৩ ওভারে ৪৯ বলে ৪৩ রানে দীপেন্দ্রর বলে আউট হন তিনি।

ডেভিড মিলার বিতর্কিতভাবে জীবন পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি, ৭ রানেই শেষ হয় তার ইনিংস। তবে প্রোটিয়ারা তিন অংকের ঘরে পৌঁছে মূলত ট্রিস্টান স্টাবসের ব্যাটে। ১৮ বলে অপরাজিত ২৭ রান তুলে দলকে পৌঁছান ১১৫ রানে।

দীপেন্দ্র সিং ৩ ও কুশাল ব্রুটাল নেন ৪ উইকেট। উইকেট না পেলেও দারুণ বল করেন সন্দিপ লামিচানে।

টিআর/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন