দেশজুড়ে

তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।

শনিবার (২২ জুন) গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সকাল ৯টায় কাউনিয়া পয়েন্ট তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি ধীরগতিতে বাড়ছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ইতোমধ্যে জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তার অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি জেলার ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২২ সেন্টিমিটার‌ ও করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা গেছে, পানি বৃদ্ধির ফলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি চরে অব্যাহত ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে তোষাপাটসহ বিভিন্ন ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে উপজেলার কাপাশিয়া, হরিপুর, শ্রীপুর ও চন্ডিপুর ইউনিয়নে অন্তত অর্ধশতাধিক বিঘা ফসলি জমি ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের যোগাযোগও ব্যবস্থায় প্রভাব পড়েছে। নৌকা ছাড়া এক চর হতে অন্য চরে যাওয়া আসা করা সম্ভব হচ্ছে না।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি  ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তিস্তা নদী। প্রতিবছর তিস্তায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় নদী ভাঙন। যা চলতে থাকে সারা বছর। এ কারণ প্রতিবছর অন্তত সহস্রাধিক বসতবাড়ি ও শত শত একর ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে নদীগর্ভে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল বলেন, তারাপুর, বেলকা, চন্ডিপুর, কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন নদীভাঙন শুরু হয়েছে এবং চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত লিখিতভাবে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পাওয়া যায়নি। তালিকা পেলে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, উজানের ঢলে গাইবান্ধার সবগুলো নদ-নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে সুন্দরগঞ্জের তিস্তার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। তবে দুই এক দিনের মধ্যে পানি কমা শুরু করবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সার্বিক পরিস্থিতির উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছে।

কেএস/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন