৫৩০ হজযাত্রীর মৃত্যু, ১৬ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল
সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় হজযাত্রীদের মৃত্যুর ঘটনায় ১৬ ট্যুরিজম কোম্পানির লাইসেন্স বাতিলের পাশাপাশি তাদের বিচারের জন্য পাবলিক প্রসিকিউটরের কাছে হস্তান্তর করেছে মিশর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি দল শনিবার (২২ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে।
রোববার (২৩ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্খা রয়টার্স’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছরের হজে পবিত্র নগরী মক্কায় মিশরের ৫৩০ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে মেডিকেল এবং নিরাপত্তা সূত্র। মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবৌলিকে প্রধান করে হজযাত্রীদের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৩১ জন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যেসব হজযাত্রী মারা গেছেন তাদের ট্যুরিজম কোম্পানিগুলো কোনো ধরনের মেডিকেল সুবিধা প্রদান করেনি। যদিও বিবৃতিতে ট্যুরিজম কোম্পানির নাম উল্লেখ করা হয়নি। মিশরের এসব ট্রাভেল প্রতিষ্ঠানগুলো হজযাত্রীদের ভ্রমণ ভিসায় সৌদি আরবে নেয়ার পর হজ ভিসা বলে চালিয়ে দেয়।
পবিত্র হজে সৌদি কর্তৃপক্ষ হাজিদের নিরাপত্তায় মেডিকেল সুবিধাসহ ছাউনি স্থাপন করে। আর এসব সুবিধা হজ ভিসায় যাওয়া যাত্রীদের প্রদান করা হয়। যারা ব্যক্তিগত ভিসা কিংবা ভ্রমণ ভিসায় গিয়ে হজে অংশ নিয়েছে তাদের জন্য কোনো সুবিধা প্রদান করেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ। মিশরের হজযাত্রীরা ভ্রমণ ভিসায় সৌদি আরব গিয় হজে অংশ নিয়েছেন। ফলে তারা পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে মরুভূমির পথ ধরে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার চেষ্টা করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
মিশরের কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রাভেল এজেন্সিগুলো হজযাত্রীদের বাসস্থানের সুবিধা না রেখেই তাদের হজে পাঠিয়েছে। এর ফলে তাদের তীব্র তাপমাত্রার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। মিশর কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, হজযাত্রীদের ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। বাকি যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা নিবন্ধিত হজযাত্রী ছিলেন না।
উল্লেখ্য, এবারের হজে মক্কায় সর্বোচ্চ ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা ছিল অসহনীয়। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হজযাত্রী অসুস্থ হয়ে মারা যান।