বাংলাদেশ

‘পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি সাংবাদিকতার প্রতি অসাংবিধানিক হুমকি’

দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সংগঠনের এ বিবৃতি একদিকে যেমন সংবিধান স্বীকৃত স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি সরাসরি হুমকি ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের প্রচেষ্টা, অন্যদিকে তেমনি নাগরিকের তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিতের অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বললেন  ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

রোববার (২৩ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বক্তব্য জনায় টিআইবি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়া সাবেক পুলিশ কর্তাদের নিয়ে নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিটি উটপাখির আচরণসম। মূলত বাস্তবতাকে অস্বীকার করে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন যে “উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে” রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে- এমন মন্তব্য করা মোটেই অত্যুক্তি হবে না।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতির খবরে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে- পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এমন বক্তব্যকে বালখিল্যতার সামিল উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, পুলিশের সাবেক শীর্ষ কর্তাদের দুর্নীতির যে বিশাল, অস্বাভাবিক ও অনেকাংশে উৎকট খতিয়ান  গণমাধ্যমের কল্যাণে তাঁরা জানতে পেরেছেন সে সব সংবাদকে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার খোঁড়া যুক্তিতে থামানোর চেষ্টা করা পুলিশের মতো একটি দায়িত্বশীল সংস্থার ভাবমূর্তি সুরক্ষায় নিজেদের সক্ষমতা ও সৎসাহস নিয়ে প্রশ্ন জন্ম দেয়।

সংস্থাটি জানায়, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের পাশাপাশি দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা, বিভিন্ন দুর্যোগ-সংকট মোকাবিলা ও মানবসেবায় পুলিশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে দ্বিমতের কোনো অবকাশ নেই এবং এ জন্য পুলিশ বাহিনী যৌক্তিকভাবেই প্রশংসার দাবিদার।

উল্লেখ্য, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতির পর পুলিশকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম যেন সতর্কতা অবলম্বন করে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়টিকে শুধু দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাই নয়, পুরো জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য অশনি সংকেত হিসেবে মন্তব্য করেছে টিআইবি।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন