হত্যার হুমকী নিয়ে যা যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
আমি থানায় জিডি করার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত ছিল যারা হুমকি দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। কারণ তাদের থেকে আমি হুমকির তথ্য পেয়েছি। রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না, সেই প্রশ্ন এখন দেখা দিয়েছে। বললেন সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
রোববার (৩০ জুন) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছি। এখন দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। মৃত্যুর ভয় আমি করি না। কিন্তু আমার এলাকার মানুষকে নিয়ে চিন্তা করি।
তিনি বলেন, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি আমাকে জানান, সিরিয়াল কিলারের একটি গ্রুপ বর্তমানে সক্রিয়। তারা আমাকে হত্যা করতে চান। আমি যেন আগামী ২-৩ দিন বাসা থেকে বের না হই।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সংসদে থাকাকালীন আমার এলাকার যে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আছেন তিনি আমকে কল করে জানান গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে তাই বাড়ি আসার পর তার সঙ্গে যেনো আমি একটি বসি। পরে শুক্রবার বাড়ি যাবার পর শুরু দুপুরে আমার সঙ্গে বসেছিলেন ওসি। তখন ওসি আমাকে একটি ম্যাসেজ দেখালেন। সেখানে ওসিকে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ২/৩ দিন কল করেছেন। কিন্তু কলটি আমলে না নেয়ায় ওই ব্যক্তি ওসিকে একটি ম্যাসেজ করে জানান যে, তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেতে চান। এছাড়া ম্যাসেজে দেখা গেছে একটি কন্ট্রাক কিলার গ্রুপ হায়ার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে এক্টিভ।
তিনি আরও বলেন, পরে ওসি তার ফোন দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে আমাকে কথা বলায় দিলেন। তখন আমি কথা বলেছি। পরে অজ্ঞাত ব্যক্তি জানায় যে, তিনি নিজের পরিচয় এবং ঠিকানা দিতে চান না। এছাড়া তিনি নিজেও ওই কিলার গ্রুপের একজন সদস্য ছিলেন। যখন আমাকে হত্যার জন্য তার কাছে নাম আসে এবং এই হত্যা তাকে করতে হবে তখন তিনি এই কাজে অস্বীকৃতি জানান বা না করেন দেন। কারণ তার বাড়িও সিলেটে। তিনি আমার কাজকর্ম সম্পর্কে সব জানেন তাই তিনি রাজি হননি।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক আরও বলেন, এর আগেও আমি মৌখিকভাবে এবং পিএসয়ের মাধ্যমে হুমকি পেয়েছি। কিন্তু সেগুলো আমলে নেইনি। তবে এবার যখন ওসির মাধ্যমে এসেছে তখন আমার কাছে মনে হয়েছে এবার সিরিয়াসলিভাবে আমলে নিতে হবে।
তিনি বলেন, এরপর আমি শনিবার ঢাকায় চলে আসি। এর মধ্যে আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। পরে আমি শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।
সুমন আরও বলেন, আমি একজন সংসদ সদস্য। যখন আমার এলাকার ওসি কোন এক মাধ্যমে জেনেছেন যে আমার লাইফ রিস্ক আছে তখনই কিন্তু তার এসপি বা ডিআইজির সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। এটা কি সত্যই হুমকি নাকি ভোগাস সেটিতো আমার কাছে আসার আগেই তাদের তদন্ত করে ফেলা উচিত ছিল। আমাকে কেনো জিডি করতে হলো। আমার প্রশ্ন হলো আমার থ্রেট তো আমি জানি না। আমার আগে জেনেছেন ওসি। এরপর এটা এসপি বা ডিআইজিকে জানানো দরকার ছিল এবং আমি জানার আগেই আমাকে প্রোটেকশন দেবেন। এরপর আমাকে জানাতে পারতেন যে এই থ্রেটটা রিয়েল অথবা ফেইক। কিন্তু ওসি আমাকে বলেছেন, আমার জিডি করতে হলো। এখন তো আমার জীবনের নিরাপত্তা তো নিজেরেই দিতে হচ্ছে। আমি বুঝি না এই রাষ্ট্রযন্ত্র আসলেই
তিনি বলেন, এই দেশে বঙ্গবন্ধুসহ পুরো পরিবারকে মেরে ফেলা হয়েছে, হবিগঞ্জের শাহ এএমএস কিবরিয়া মারা গেছেন। আমরা তো তাদের নিরাপত্তা দিতে পারিনি। আর আমার ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা দেখে মনে হচ্ছে- পুলিশ একটি অপমৃত্যু রেকর্ড করার জন্য বসে আছে।
জেএইচ