আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নিলো পাকিস্তান

গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে ১৪৮ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিয়ে সেই ম্যাচে শেষ ওভারের শ্বাসরুদ্ধকর স্নায়ুযুদ্ধ সামলে জয় পেয়েছিল ভারত। আর সেই প্রতিশোধ নিতেই সুপার ফোরের শুরুতেই তুলে নিল পাকিস্তান।
সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় দেখায় এবারে ভারত পাকিস্তানকে বেঁধে দেয় ১৮২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য। এবারও সেই শেষ ওভারের শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই। তবে এবারের স্নায়ুযুদ্ধে জয়টা মিললো পাকিস্তানের।

ভারতের দেয়া ১৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট ও ১ বল হাতে রেখেই টপকে যায় বাবর আজমের দল।

রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মন্থর ছিল পাকিস্তানের। দেখেশুনে শুরু করলেও দলীয় ২২ রানে বড় হোঁচট খায় পাকিস্তান। ১০ বলে ১৪ রান করে বাবর আজম যখন বিদায় নেন তখন চলছিল ইনিংসের মাত্র চতুর্থ ওভার।

সেখান থেকে ম্যাচের হাল ধরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। সঙ্গী ফখর জামান ১৫ রানে ফিরলেও মোহাম্মদ নাওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন রিজওয়ান।

এই দু’জনের ব্যাটে ভর করে ধীরে ধীরে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেতে থাকে পাকিস্তান।

২০ বলে ৪২ করে নাওয়াজ ও ৫১ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলা রিজওয়ানের বিদায়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় পাকিস্তান।

সেখান থেকে আসিফ আলির ৮ বলে ১৬ ও খুশদিলের ১১ বলে ১৪ রানের ইনিংসের সুবাদে খেলা গড়ায় শেষ ওভারে। আসিফ যখন বিদায় নেন তখন পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ২ বলে ২ রান।

এ সময় উইকেটে এসে দ্রুত ডবলস নিয়ে এক বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেন ইফতিখার আহমেদ।

এর আগে দুবাইয়ে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে হারিস রউফ ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ওপর শুরু থেকেই তাণ্ডব চালান রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল। দু’জনের মারকুটে ব্যাটিংয়ে ৪ দশমিক ২ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান তোলে ভারত।

পঞ্চম ওভারে জুটি ভেঙে ব্রেকথ্রু দেন রাউফ। বড় শট খেলতে গিয়ে খুশদিল শাহর হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়েন ১৬ বলে ২৮ রান করা রোহিত।

সঙ্গীর বিদায়টা যেন মেনে নিতে পারছিলেন না রাহুল। পরের ওভারে শাদাব খানের শিকার বনে নাওয়াজের হাতে ধরা দিয়ে ফেরার পথ ধরতে হয় তাকেও। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ২৮ রান।

এরপর মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলে ভারত। কমে যায় রানের গতি।

দ্রুত দুই উইকেট পতনের পর দলকে সামাল দেন ভিরাট কোহলি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই।

১০ বলে ১৩ করে আউট হন সুরিয়াকুমার ইয়াদভ। বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন রিশাভ পান্টও। ১২ বলে ১৪ রান করে শাদাব খানের শিকার হয়ে থামতে হয় তাকেও।

গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের নায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে সুপার ফোরের ম্যাচে দাঁড়াতে দেননি মোহাম্মদ হাসনাইন। শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।

দিপক হুদাকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন কোহলি। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তুলে নেন টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি।

হুদা আউট হন ১৬ রান করে। ৬০ রান করে শেষ ওভারে মাঠ ছাড়তে হয় কোহলিকেও। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট খরচায় ১৮১ রানের পুঁজি দাঁড় করায় ভারত।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন