বিনোদন

ববির সঙ্গে প্রতারণাকারী আমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

চিত্রনায়িকা ববির সঙ্গে প্রতারণা করা সেই আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (০২ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটনের সাত নম্বর আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলামের আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন।

নায়িকা ববির পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাকিবুল হাসান (রানা) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রাজধানীর ‍গুলশানে চিত্রনায়িকা ববির রেস্টুরেন্টেু লুটপাট ও হামলার অভিযোগে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

সোমবার (১ জুলাই) রেডওয়ার্কিড রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে ববি এসব অভিযোগ করেন। গেল ২২ জুন দিবাগত রাতে ববস্টার ডাইনিংয়ে লুটপাট ও মালামাল সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। ২৩ জুন দুপুরে ববির ব্যবসায়ীক অংশীদার ঘটনাস্থলে গেলে তাকে মারপিট করা হয়।

এ বিষয়ে ওইদিনই মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ীক অংশীদার মির্জা বাশারের ছোট ভাই আব্বাস। একই দিন মির্জা বাশার ও ববিকে আসামি করে রেস্টুরেন্ট ভবনের এ জি এম সাকিব মিথ্যা মামলা দায়ের করেন বলে দাবি করেছেন ববি।

সংবাদ সম্মেলনে ববি বলেন, ‘গেল এপ্রিল মাসে আমান আমাদের কাছে রেস্টুরেন্ট হস্তান্তর করেন। আমরা এপ্রিল থেকে রেস্টুরেন্টের ভাড়া প্রতি মাসে আড়াই লাখ ও বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য খরচ পরিশোধ করছি। ভবনের মালিক আমাদের নামে ভাড়া জমা নিয়ে রসিদও দেন। রেস্টুরেন্টে ওঠার পর আমরা ডেকোরেশন পরিবর্তনের কাজ শুরু করি। ডেকোরেশনে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়।’

ববি অভিযোগ করেন, ‘আমরা যখন ট্রেড লাইসেন্স করতে এসব কাগজপত্র চেয়েছি তখন থেকে হঠাৎ করেই পূর্বের রেস্টুরেন্ট মালিক আমান, ভবন মালিক শাহিনা ইয়াসমিন, তার ছেলে জাওয়াদ, ভবনের দায়িত্বে থাকা জয়, সাকিবসহ অন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আমাদের হয়রানি শুরু করেন। প্রথমে আমান তাকে পরিশোধ করা ১৫ লাখ টাকার বিষয় অস্বীকার করেন। যদিও তিনি ১৫ লাখ টাকা ক্যাশ বুঝে নিয়ে চাবি হস্তান্তর করেন।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনার পর আমরা বুঝতে পারি, আমান, শাহিনা ও জাওয়াদ মিলে আমাদের সঙ্গে এক ভয়াবহ প্রতারণা করেছেন। বাণিজ্যিক কোনো অনুমতি না থাকার পরও মাত্র তিন মাসের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসে আমাদের প্রায় ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করিয়েছেন এবং তারা আমাদের থেকে ভাড়াও নিচ্ছেন।’

এসব বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ওই দিন একটা ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষ দুটি মামলা করেছে। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত বলা যাবে।

এসআই/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন