জাতীয়

ফের রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন কোটাবিরোধীরা

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ফের অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ মোড় ছেড়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা।

এর আগে বুধবার (৩ জুন) বিকেল পৌনে ৪টা থেকে টানা দেড় ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেবো। আপিল বিভাগ থেকে আমাদের পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল থাকবে কি না, এ বিষয়ে বৃহস্পতবার আপিল বিভাগে চূড়ান্ত শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে বুধবার বিকেল পৌনে ৪টায় শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অবস্থান নেয়া শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। পরে তাদের এই অবস্থানে মিছিল সহকারে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে এই মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বর, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগে এলে শিক্ষার্থীরা এই মোড়ে বসে পড়েন।

এর আগে সেখানে অবস্থান নেয় পুলিশ। তবে অবরোধের সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের কোনো ধরনের সংঘাত-সংঘর্ষ হয়নি।

এর আগে মিছিলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা?, মেধা মেধা’, ‘হাইকোর্টের রায় মানি না মানব না’, ‘কোটা বাতিল কর, বাতিল কর’, ‘ছাত্রসমাজ গড়বে দেশ, মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

প্রসঙ্গত, কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো- পরবর্তী সময়ে সরকার কোটাব্যবস্থা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেয়া, সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা–সুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন