আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-ভারত বৈঠক: ৭টি সমঝোতা স্মারক সই

চারদিনে রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে এ বৈঠক শুরু হয়। দুপুর ২টার দিকে উভয় নেতার মধ্যে এ বৈঠক শেষ হয়।

এরপর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হয়।

এগুলো হলো-

১. কুশিয়ার নদী থেকে বাংলাদেশের ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহার।   
২. ভারতের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (সিএসআইআর) সঙ্গে বাংলাদেশের সিএসআইআরের বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা । 
৩. বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ও ভারতের ভুপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিসিয়াল অ্যাকাডেমির সহযোগিতা।   
৪. ভারতের রেলওয়ের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোতে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের প্রশিক্ষণ ।  
৫. ভারতীয় রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে  বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্যপ্রযুক্তিগত সহযোগিতা ।  
৬. ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম ‘প্রসার ভারতী’র সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহযোগিতা। 
৭. মহাশূন্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিটিসিএল ও ভারতের এনএসআইএলের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক।

বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সহযোগিতার পাশাপাশি দুই দেশের অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো গুরুত্ব পায় আলোচ্যসূচিতে।

এর আগে, ভারতের জাতির পিতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর (মহাত্মা গান্ধী) সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সে সময় মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। পরে পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন তিনি।

এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয়। তাকে স্বাগত জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে সময় শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে দেয়া হয়, লালগালিচা সংবর্ধনা। তার সম্মানে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়াও প্রথম দিন বৈঠক হয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে।

টিআর

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন