বরিশাল মেডিকেল কলেজে দুদকের অভিযান: অধ্যক্ষের সঙ্গে বাকবিতন্ডা
অভিযান চালানো নিয়ে বিরোধে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান শাহিনের সঙ্গে বাগবিতন্ডা হয়েছে দূর্ণীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের। দুদক কর্মকর্তারা চিকিৎসকদের বায়োমেট্রিক হাজিরা দেখতে চাইলে এই বাদানুবাদ হয়।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল নয়টা থেকে দশটা পর্যন্ত বরিশাল কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহার নেতৃত্বে ওই অভিযান চলে। সরকারি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করা, হাসপাতালের চেয়ে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন।
অভিযোগ আছে, শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন বাবলু এবং অমিতাভ সরকার সঠিকভাবে সরকারি দায়িত্ব পালন করেন না। কিন্ত ব্যক্তিগত চেম্বারে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ শ রোগী দেখেন। শুধু এই দুই চিকিৎসক নন অন্যান্য চিকিৎসকরাও দায়িত্বে এমন অবহেলা করে। ভূক্তভোগী এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনে এসব অভিযোগ করেন।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সকালে কলেজ অধ্যক্ষ ডাঃ মনিরুজ্জামান শাহিনের কক্ষে যান দুদক কর্মকর্তারা। এসময় অধ্যক্ষ কক্ষে ছিলেননা। অফিসের কোন পিয়নও উপস্থিত ছিলেন না। দুদকের টিম যাওয়ার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে কার্যালয়ে যান কলেজ অধ্যক্ষ। এসময় অধ্যক্ষের কাছে চিকিৎসকদের এক সপ্তাহের বায়োমেট্রিক হাজিরার তালিকা দেখতে চান দুদক কর্তৃপক্ষ।তখন কলেজ অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান শাহীন তালিকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে বিরোধে দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন অধ্যক্ষ।
অভিযানকারী টিমের ছবি তুলে রাখার হুমকি দিয়ে মনিরুজ্জামান শাহিন এবং কোন তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
দুদক টিম চলে যাওয়ার পরে কলেজ অধ্যক্ষ ডাঃ মনিরুজ্জামান শাহিন পাল্টা বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের লোকজন তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। এ বিষয়টি তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে (ডিজি) জানিয়েছেন। দুদক টিম আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে না হঠাৎ করে কাগজ চাইতে পারে না।