আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে বাসে ই-টিকিট

সম্প্রতি রাজধানীতে একটি লোকাল বাসে চালু হয়েছে ই-টিকিট। ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য বন্ধের জন্যই ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির উদ্যোগে ই-টিকিট ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এই ই-টিকিটের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে নানান মতামত।

বাস মালিকরা বলেন, ই-টিকিট চালু করায় গাড়ির মধ্যে গণ্ডগোল নেই। বিশৃঙ্খলা নেই। ভাড়া নিয়ে মারামারি নেই। ছাত্রদের টিকিট স্বয়ংক্রিয়  হয়ে যাচ্ছে। কারোর কোন আপত্তি নেই। 

বাসের হেলপাররা জানিয়েছেন, আগে বাসের গেট বন্ধ থাকলে পুলিশ মামলা করতো না। এখন মামলা করে। গাড়ি তো লোকালই আছে। কিন্তু যারা কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে বাসে উঠছে, তারা মনে করে বাস সিটিং। বাড়তি মানুষ বাসে উঠলেই যাত্রীরা বাকবিতন্ডা করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, আগে হাফ ভাড়ায় বাসে চলাচল করতে পারলেও এখন  হাফ ভাড়ায় বাসে চড়ে যায়না।  

বাসযাত্রীরা বলেন, লাইনে ভীড় থাকে। সমস্যার সৃষ্টি হয়। ই- টিকিট গাড়িতে নেয়ার সুযোগ থাকলে আরো ভালো হতো। আর এই গাড়িতে দুইটা দরজা থাকলে ভালো। একদিক দিয়ে যাত্রী উঠবে, আরেক দিক দিয়ে নামবে। 

তারা আরও বলেন, আগে বাসে উঠতে ধাক্কাধাক্কি লাগতো। এখন সেটা হয় না। 

নিয়ম অনুসারে চললে ই-টিকিট ব্যবস্থা ভালো উদ্যোগ। 

গেলো ৩ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করে ট্রান্সসিলভা পরিবহন কর্তৃপক্ষ। 

এই পদ্ধতিতে যাত্রীরা নির্দিষ্ট কাউন্টারে পজ মেশিন থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন। টিকিটের গায়ে যাত্রার বিবরণ থেকে টাকার পরিমাণ সব উল্লেখ থাকে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কোনো সুযোগ থাকবে না। 

আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে এই পাইলট প্রকল্পের অধীনে প্রজাপতি, পরিস্থান, অছিম, নূর-ই মক্কা ও বসুমতি পরিবহনে ই-টিকিট সুবিধা চালু হবে। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি জানিয়েছে, পর্যায়ক্রমে ঢাকা মহানগরীর সব বাসে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে ।

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন