নির্বাচন এলেই জোটের বিষয়টি বলা যাবে : প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচন এলেই জোটের বিষয়টি বলা যাবে। আমরা ১৪ দল করেছি। তোটগতভাবে নির্বাচন করেছি। জাতীয় পার্টি আমাদের সাথে ছিল। তারা আলাদা নির্বাচন করেছে। তাদের সাথে আমাদের একটি সমঝোতা ছিল। ভবিষ্যত নির্বাচনে কে কোথায় থাকবে তা সময়ই বলে দেবে। আওয়ামী লীগ উদারভাবে কাজ করে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সদ্য-সমাপ্ত ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনো নির্বাচনে প্রায় এক ভচর বাকি। সময় যত যাবে বিষয়টি তত পরিষ্কার হবে। আমাদের সাথে কে থাকবে কে থাকবে না। বা নতুন জোট হবে। কি হবে। হোক অসুবিধা নেই। সবাই নির্বাচনে অংশ নিক সেটাই আমরা চাই। যদি কেই না করে সেটা তাদের দলের সিদ্ধান্ত। সেজন্য আমাদের সংবিধান তো আমরা বন্ধ করে রাখতে পারি না।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে যারা সব সময় আমাদের সাথে ছিল তারা আমাদের সাথে থাকবে। এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। যেকোনও নির্বাচনে নমিনেশনে পরিবর্তন এটি স্বাভাবিক বিষয়। এটি আমরা যাচাই করে দেখবো। কার জনপ্রিয়তা আছে, কার নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসর পর ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। তৃণপর্যায় থেকে আমরা উন্নয়ন করেছি। এতো কাজ করার পর জনগণের যে ভোট তা অবশ্যই আওয়ামঅ লীগকে দেবে। এটি আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। যদি এ উন্নয়নের ধারা অভ্যাহত রাখতে চান। যদি না চান তা হলে তো কিছু করার নাই।
তিনি বরেন, এবারের ভারত সফরে বাংলাদেশ কী পেল- এমন প্রশ্ন আপেক্ষিক, বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে ভারতের কাছ থেকে সব বিষয়েই সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ যাই করে ভারতের সঙ্গে সমান অধিকার ঠিক রেখেই করে। বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের সব দল-মত এক থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র হিসেবে ভারত সব বিষয়েই সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এ সফরেও আমরা একেবারে শূন্য হাতে ফিরেছি, এটা বলতে পারবো না।