দেশজুড়ে

ভাইকে মে‌রে ফেলল কেন; জানতে চায় সাঈদের ছোট বোন

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদের  (২৪) পরিবারে চলছে শোকের মাতম। পাশাপাশি পুরো গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

অন্যদিকে নিহতের ছোট বোন সু‌মির আর্তনা‌দে ভা‌রী হ‌য়ে‌ উঠেছে আকাশ-বাতাস । কান্নাজ‌ড়িত ক‌ণ্ঠে তিনি ব‌লেন, হামার ভাইকে ওরা মে‌রে ফেলল ক্যান? হামার ভাই বেঁচে থাক‌লে হামার‌ হে‌রে স্বপ্নপূরণ হ‌লো হয়। ও ভাইও হামাক এনা বোন কয়া ডা‌কো রে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন আবু সাঈদ।

সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

আবু সাঈদ বাবা-মায়ের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া সন্তান ছিল। নিজের ইচ্ছায় ৯ ভাই-বোনের মধ্যে লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন তিনি। অভাবের কারণে অন্য ভাই-বোনেরা লেখাপড়া করতে না পারলেও সাঈদ খালাশপীর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন।

পরে রংপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতে একই ফলাফল নিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন আবু সাঈদ।

এনএস/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন