আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

শেষ ওভারের নাটকে জয়ের হাসি রাজশাহীর

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে জয় পেয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। শেষ ওভারের নাটক শেষে বেক্সিমকো ঢাকাকে দুই রানে হারায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

ম্যাচ টস জিতে রাজশাহীকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। বড় সংগ্রহ পেলেও শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারা। উদ্বোধনী জুটিতে ৩১ রান সংগ্রহ করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন। শান্ত ১৭ রান করে আউট হলে ভেঙে পড়ে রাজশাহীর ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ৬৫ রান তুলতে হারায় ৫ উইকেট। এদিন ব্যর্থ হন রনি তালুকদার, মোহাম্মদ আশরাফুল ও ফজলে মাহমুদ। ওপেনার ইমনের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। তার ২৩ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও একটি ছয়ের মার।

দলের বিপর্যয়ে ষষ্ঠ উইকেটে হাল ধরেন নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান। এ দুইজন গড়ে তোলেন ৮৯ রানের জুটি। মাত্র ২০ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সোহান। অন্যদিকে মেহেদী তুলে নেন ফিফটি। ৩২ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ঠিক ৫০ রান করে আউট হন মেহেদী। শেষদিকে ফরহাদ রেজা ১১ রান করলে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় রাজশাহী।

ঢাকার পক্ষে মুক্তার আলী ৩টি, মেহেদী হাসান রানা, নাসুম আহমেদ ও নাঈম হাসান নেন একটি করে উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন ঢাকার তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তবে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হয়ে দলীয় ১৯ রানে ব্যক্তিগত ১৮ রান করে আউট হন তিনি। এরপর স্কোরবোর্ডে ৩৮ রান উঠতেই আরেক ওপেনার ইয়াসির আলীকে হারিয়ে দ্বিতীয় ধাক্কা খায় মুশফিকের দল।

দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাটিংয়ে নামা নাঈম শেখ ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিলেও বেশিদূর যেতে পারেননি। ১৭ বলে সমান ২ চার ও ছয়ে ২৬ রান করে আউট হন তিনি। ৫৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে ঢাকা। চতুর্থ উইকেটে আকবর আলীকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিক। এ দুইজনের ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখে ঢাকা। দলীয় ১২৬ রানে আকবর আলীকে আউট করে রাজশাহীকে ম্যাচে ফেরান ফরহাদ রেজা। আউট হওয়ার আগে আকবর আলী ২৯ বলে খেলেন ৩৪ রানের ইনিংস। এরপর ফিরে যান মুশফিকও। ৩৪ বলে ৪১ রান করা মুশফিককে আউট করেন এবাদত হোসেন।

মুশফিকের বিদায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ঢাকা। শেষ দুই ওভারে ঢাকার প্রয়োজন হয় ৩০ রান। ১৯তম ওভারে ২১ রান তুলে ঢাকাকে জয়ের স্বপ্ন দেখান মুক্তার আলী। তবে শেষ ওভারের ব্যর্থতায় ম্যাচ হারে ঢাকা। শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৯ রান আর ঢাকা তোলে ৭ রান। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে দলকে ২ রানের জয় উপহার দেন মুক্তার আলী।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন