শিক্ষা

জরুরি সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে বুধবার (১৭ জুলাই) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজিবির পাহারায় অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় বসে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে সভার শুরুতে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সংঘর্ষে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। সেই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের আহত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।

সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:

এক. উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩-এর আর্টিকেল ২৪(এল) ধারার ক্ষমতাবলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

দুই. আজ (১৭ জুলাই, ২০২৪) সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সব আবাসিক হল/হোস্টেলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের হল/হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হলো। পরবর্তীতে হল খোলার পর মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ করে শিক্ষার্থীদের হলে উঠানো হবে। এছাড়া বহিরাগত কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও অবস্থান না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলো।

তিন. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।

চার. বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানানো হলো।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন