২৩ বছর পর গ্রেপ্তার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি
মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানার গড়পাড়া এলাকার চাঞ্চল্যকর কাবুল হত্যা মামলার পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিপ্লবকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক এএসপি (মিডিয়া) মাজহারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গেলো বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪ এর একটি দল। বিপ্লবকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
মাজহারুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল র্যাব-৪ এর একটি দল রাজধানীর মিরপুর থেকে চাঞ্চল্যকর কাবুল হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসের প্রথম দিকে মতবিরোধের জেরে বিপ্লব ও তার সহযোগীরা মানিকগঞ্জ সদর থানার গড়পাড়া এলাকায় মোতালেব হোসেনের বাড়িতে ধারালো অস্ত্রসহ হামলা চালায়। মোতালেব হোসেন তখন বাড়িতে না থাকায় বিপ্লব ক্ষিপ্ত হয়ে হয়ে যায়। পরে বিপ্লব মোতালেব হোসেনের বাড়ির সামনে থাকা কাবুলের ওপর হামলা করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে স্থানীয়রা কাবুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরের দিন মোতালেব হোসেন বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় বিপ্লবসহ পলাতক অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে বিপ্লবসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে আদালত আসামি বিপ্লবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ ঘটনার পর থেকে আসামি বিপ্লব দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে পলাতক ছিলেন।
এএসপি বলেন, ঘটনার পর থেকেই বিপ্লব পরিচিত লোকজন থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখার জন্য ঢাকা চলে যায়। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় সে নিজের পরিচয় গোপন করে জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবা ও মায়ের নাম ঠিক রেখে নিজের নাম বিপ্লবের পরিবর্তে শহিদুল ইসলাম ব্যবহার করেন। এছাড়াও আত্মগোপনে থাকাকালীন গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি পেশা পরিবর্তন করতেন। প্রথমদিকে তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দোকানের কর্মচারী, ইলেকট্রিক মিস্ত্রী ও পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতারণামূলক দালালি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
বিপ্লব আহসান