অপরাধ

বিএনপি-জামায়াতের যেসব শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেন

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হওয়া সহিংসতায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানায় এখন পর্যন্ত ১৫৪টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াত কর্মী। যাদের মধ্য দল দুটির ২০ শীর্ষ নেতাও রয়েছেন।

বুধবার (২৪ জুলাই) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপি জানায়, সহিংসতার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, ঢাকা জেলা বিএনপির সেক্রেটারি নিপুন রায় চৌধুরী, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম ও ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল।

আরও রয়েছেন,ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু,জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য সামিউল হক ফারুকী , মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ঢাকা উত্তর বিএনপির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, বিএনপির নির্বাহী পরিষদের সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, বিএনপির কোষাধক্ষ্য রাশেদু্জ্জামান মিল্লাত।

ডিএমপি আরও জানায়, সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশ এক ১ হাজার ৭৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গেলো এক সপ্তাহের সহিংসতায় সারা দেশে নিহত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা তিনজন। এছাড়া আহত হয়েছেন এক হাজার ১১৭ জন। ঢাকাসহ সারা দেশে পুলিশের ২৮১টি যানবাহন ভাঙচুর ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময়ে পুলিশের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি মিলিয়ে ২৫৩টি স্থাপনায় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন