বিনোদন

‘আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল’ জবানবন্দিতে সালমান

মাস খানেক আগে সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়েছিলো গোটা বলিউড। ১৪ই এপ্রিল বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে চালানো হয় গুলি। এ ঘটনায় মুম্বাই পুলিশের পেশ করা চার্জশিটে সালমান খান গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। যেখানে ভাইজান বলেছেন, এটাই প্রথম নয়। এর আগেও নাকি বিষ্ণোই গ্যাং তাঁকে হুমকি দিয়েছে ও আঘাত হানার চেষ্টা করেছে।

সালমানের বিশ্বাস, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং এপ্রিল মাসে তার বাড়িতে গুলি চালানোর জন্য দায়ী। অভিনেতা বলেছেন ১৪ এপ্রিল ভোরে গুলির শব্দেই ঘুম ভাঙে তাঁর। চমকে উঠেছিলেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের জীবন বিপন্ন ভেবে ঘাবড়ে যান তিনি।

অভিনেতা তার জবানবন্দিতে বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে লরেন্স বিষ্ণোই তার দলের সদস্যদের সহায়তায় গুলি চালিয়েছিল। তখন আমার পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন এবং তারা আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলতে চেয়েছিল’।

লরেন্স বিষ্ণুই গ্যাংয়ের কাছ থেকে এর আগেও হুমকি পেয়েছিলেন সালমান ও তার পরিবারের সদস্যেরা। সেই কথা স্মরণ করে সালমান বলেন, ‘২০২৩ সালের মার্চ মাসে আমার এক কর্মচারীর অফিশিয়াল মেইলে একটি মেইল আসে। সেখানেও বিষ্ণুই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে আমাকে ও আমার পরিবারকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর আমার ওই কর্মচারী বান্দ্রা থানায় এ নিয়ে একটি কেস দায়ের করে।’

সালমান আরও উল্লেখ করেছেন, এই মাসের শুরুতে পুলিশ মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট মামলার বিশেষ আদালতে গুলি চালানোর মামলায় ১,৭৩৫ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেছিল। আদালত সম্প্রতি চার্জশিট গ্রহণ করে বলেছে, গ্রেফতার হওয়া ছয় আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

পুলিশ এখন পর্যন্ত যাদের গ্রেপ্তার করেছেন তারা হলেন ভিকিকুমার গুপ্তা, সাগরকুমার পাল, সনুকুমার বিষ্ণোই, অনুজকুমার থাপন (বর্তমানে প্রয়াত), মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী এবং হরপাল সিং। গ্রেফতারের পর পুলিশ হেফাজতে আত্মহত্যা করেন অনুজকুমার। বাকি পাঁচজন বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।

এসআই/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন