প্রাণহানি ও ভয়াবহতা সুশাসনের প্রকট ঘাটতির নির্মম চিত্র : টিআইবি
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির আন্দোলন দমনে বলপ্রয়োগ ও তার সুযোগে স্বার্থান্বেষী সহিংস মহলের অপতৎপরতা যুক্ত হয়ে সংঘটিত অভূতপূর্ব প্রাণহানি ও ভয়াবহতা সুশাসনের প্রকট ঘাটতির নির্মম চিত্র বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলে সংস্থাটি।
এতে বলা হয়, ভিন্নমত ও দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অপরাধ নয়, সাংবিধানিক অধিকার। চলমান সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের বলপ্রয়োগপূর্বক দমন, অপহরণ ও নির্যাতনের পথ থেকে বেরিয়ে এসে তাদের সব ন্যায্য দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানায় সংস্থাটি।
টিআইবি জানায়, গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে ঘিরে তৈরি হওয়া সহিংসতায় দুইশর বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্বশীল একাংশের উসকানি ও অবৈধ বলপ্রয়োগের কারণে একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এমন রক্তক্ষয়ী অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমে এমন বহু শিশু-কিশোরসহ সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা উঠে আসছে, যারা আন্দোলনরত ছিলেন না। নিজের বাড়িতে বা ছাদে দাঁড়িয়ে গুলিতে নিহত হওয়া সব মৃত্যুর পেছনে যারা দায়ী, তাদের বিচার হবে কী?আবার, শুধুমাত্র গত ১৬ জুলাইয়ের ছয়জনের মৃত্যুর তদন্ত করবে বিচার বিভাগীয় কমিশন। তাহলে, বাকি জীবনগুলো কী মূল্যহীন? নিজের বাড়িতে বসে গুলিতে মারা যাওয়াটা কি এখন থেকে নিয়তি হিসেবে মেনে নিতে হবে?’
টিআইবির দাবি, “ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ”-এর স্লোগান দিয়ে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা, সরকারের স্ববিরোধী ও সাময়িক সুবিধার স্বার্থে অদূরদর্শিতার প্রমাণমাত্র। ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় প্রাণ ফেরানো ও তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পুরোদমে চালু করতে সরকারকে আহ্বান জানায় সংস্থাটি।
আই/এ