বিচ্ছেদের পথে ঋষি-দেবযানী? ভিডিওতে ‘আসল কারণ’ ফাঁস করলেন অভিনেতা!
টলিউডের পাওয়ারফুল কাপল হিসেবে পরিচিত যীশু-নীলাঞ্জনার পর এবার শোনা যাচ্ছে অপর শক্তিধর কাপল ঋষি-দেবযানীর বিচ্ছেদের গুঞ্জন। টলিউড পাড়ায় বেশ জোরেসোরেই এই গুঞ্জনের ডালপালা ছড়াচ্ছে। বিয়ের এক যুগ পর ঋষি কৌশিক ও দেবযানীর বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন বলে সংবাদ প্রতিদিন, আনন্দবাজার, হিন্দুস্তান টাইমসসহ স্থানীয় গনমাধ্যমগুলো বড় বড় শিরোনাম করছে।
বেশ কয়েকদিন আগে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে একটি ছবি শেয়ার করে ঋষি কৌশিক লিখেছিলেন, ‘মেরুদণ্ডহীন, আত্মসম্মানহীন, লোভী এবং আপাদমস্তক ভুল মানুষের সাথে পথ চলার চাইতে সারাজীবন একলা চলা অত্যন্ত সুখ, শান্তি এবং সম্মানের’। এই লেখাতেই পুরো টলিউড পাড়ায় ওই গুঞ্জনের ঝড় বয়ে যায়। তবে কথায় বলে না যা রটে তার কিছু বটে। তাই এবার একটি ভিডিও শেয়ার করে তোলপাড় কাণ্ড বাঁধালেন অভিনেতা নিজেই। আর ওই শেয়ার করা ভিডিও’র বদৌলতে বিচ্ছেদের গুঞ্জনটা সত্যি হতে চলেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) একটি ভিডিও পোস্ট করে গল্পচ্ছলে ঋষি কৌশিক জানান তাঁর এবং দেবযানীর সম্পর্ক ঠিক নেই। অভিনেতাকে নাকি তাঁর স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিপন্ন করতে চাইছেন।
কলকাতারি ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ২০১১ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন দেবযানী। এরপর একসঙ্গে কাটিয়েছেন ১২টা বছর। তবে শোনা যাচ্ছে, বিয়ের ৬ মাস পর থেকেই নাকি তাঁদের মধ্যে সমস্যার সূত্রপাত। যদিও সেটা কাউকে বুঝতে দেননি তাঁরা। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ওই ভিডিও শেয়ার করে ‘ইষ্টি কুটুম’খ্যাত নায়ক যেসব দাবি করেছেন তাতে কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ওই ভিডিওর শুরুতেই ঋষি কৌশিক বলেন, ‘আজ একটি ছেলে এবং মেয়ের গল্প শোনাবেন তিনি। যদিও সেখানে কারোর নাম নেননি অভিনেতা। সেই গল্পটা খানিকটা এমন, ১২ বছর আগে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের বিয়ে হয়। ছেলেটি একেবারে সাধারণ, ঘরোয়া। অন্যদিকে মেয়েটি বেপরোয়া, উড়নচণ্ডী। ছেলেটি আগে থেকেই জানতো তাঁদের জীবনযাপনের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। তাই সে চট করে বিয়েতে রাজি হতে চায়নি। তবে মেয়েটি তাঁকে বারবার বোঝায় বিয়ের পর সে পাল্টে যাবে। শেষ অবধি সেই কথায় বিশ্বাস করে সাত পাকে বাঁধা পড়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে।
এরপর বিয়ের পর ৬ মাস খুব সুখে সংসার করেছিলেন দু’জনে। তবে এরপর থেকে শুরু হয় সমস্যা। ছেলেটি এবং মেয়েটির কাজের জগৎ আলাদা। মেয়েটি আইটি সংস্থায় ভালো মাইনের চাকরি করে। তবে ছেলেটির সঙ্গে কথায় কথায় খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে। বিয়ের পর নিজেকে বদলানোর কথা বললেও ধীরে ধীরে আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠতে শুরু করে সে। ঋষির কথায়, মেয়েটি নাকি বিগত ১২ বছর ধরে কেবলমাত্র ছেলেটির ওপর খবরদারি চালিয়ে গিয়েছে। এভাবে চললে জীবন শেষ করে দিতে হয়।’বলেন অভিনেতা।
ঋষি কৌশিক গল্পচ্ছলে আরও বলেন, ‘মেয়েটিকে এই নিয়ে কিছু বললে জবাব আসে, তুমি তোমার মতো থাকবে, আমি আমার মতো।’ এসময় ঋষি প্রশ্ন করে জানতে চান, ‘যদি কারোর টিউমার হয় তাহলে কি সেটা বাড়তে বাড়তে ক্যান্সার হতে দেওয়া উচিত? ১২ বছর হয়েছে মানেই অপেক্ষা করে যেতে হবে? মদ্যপান, ধূমপান, রাতে পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করা কি আধুনিকা নারীর বৈশিষ্ট্য?’
অভিনেতা ঋুষি অরও বলেন, ‘মেয়েটি সবার সামনে নিজেকে ভালো দেখায়। এদিকে লোকের কাছে দাবি করে, স্বামীর মানসিক ভারসাম্য নেই। ছেলেটিকে কথায় কথায় কাজের খোঁটা দেয় মেয়েটি। পাল্টা কিছু বলতে গেলেই পুলিশ, কমিশনের ভয় দেখানো হয়। তবে এবার আর ছেলেটি ভয় পাবে না। কারণ কোথায় কী হয়েছে সেও জানে।’
অভিনেতা ঋষি কৌশিক নিজের ভিডিওয় কারোর নাম না নিলেও অনেকেরই অনুমান এটি অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনের কাহিনী। এত কষ্টের মধ্যে জীবন কাটানোর থেকে বিচ্ছেদই শ্রেয় বলে মত নেটিজেনদের অনেকে।
এমআর//