লুকিয়ে থাকলেও সহিংসতাকারীদের বের করা হবে : ডিবি প্রধান
গর্তে লুকিয়ে থাকলেও সহিংসতাকারীদের খুঁজে আইনের আওতায় আনা হবে। এর মধ্যে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ গোয়েন্দা প্রধান বলেন, মেট্রোস্টেশন সহিসংতার ঘটনার সঙ্গে অনেকের নাম পাওয়া গিয়েছে। নেতৃত্ব দেয়াদের মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও নাম ও নাম্বার ডিবির কাছে আছে। তারা কোথায় আছেন, তাদেরে সন্ধানে ডিবির টিম কাজ করছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তিনজন ছাত্রদল নেতা জানিয়ে হারুন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান বিজয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের সহসভাপতি ফেরদৌস রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি আছে, পুলিশের আগে সেটি জানাছিলো না। সহযোগীদের নিয়ে তারা মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। মেট্রোরেলে ভাঙচুর ও বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তারা দুর্বৃত্ত, এসব জামায়াত-শিবিরে চক্রদের ধরার দায়িত্ব তাদের কাছে। কেউ যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, তারা যদি বিভিন্ন জায়গায় বলে, তাদের সঙ্গে যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে, এটা জানার পর পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব তাদের নিরাপদে নিয়ে আসা।
তিনি আরও বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঘিরেই কিন্তু অসাধু চক্র জামায়াত-বিএনপি এই সুযোগে অনুপ্রবেশ করে একটা গণতান্ত্রিক সরকারকে পতন ঘটাতে চেয়েছিল। এ কারণে তিনি মনে করেন, এই চক্র যদি আবার শিক্ষার্থীদের কোনো কিছু করে আন্দোলনের কিছু করতে চায়, সেই জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে কত দিন রাখা হবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তারা সমন্বয়কদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। তাদের আন্দোলন সম্পর্কে টুকটাক ডিবি জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
আই/এ