বিয়ের পরদিন ঝুলন্ত অবস্থায় মিলল কিশোরীর মরদেহ
কুমিল্লায় বিয়ের একদিন পর সাহিদা আক্তার নামে এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৮ জুলাই) সকালে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের কটপাড়া গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাহিদা উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের কটপাড়া গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী মিজানুর রহমানের মেয়ে ও স্থানীয় কাদৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয়রা জানান, লালমাই উপজেলার মিতল্লা গ্রামের প্রবাসী ফারুক মিয়ার ছেলে আল আমিনের সঙ্গে শুক্রবার (২৬ জুলাই) সাহিদার বিয়ে হয়। শনিবার (২৭ জুলাই) আল আমিনের বাড়িতে বৌ-ভাত অনুষ্ঠান শেষে স্বজনরা সাহিদাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। রাতে আল আমিন শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসে। রাতের খাবার খেয়ে নবদম্পতি ঘুমিয়ে পড়ে। রোববার সকাল ৭টায় সাহিদার নানি খুরশিদা বেগমের চিৎকারে স্বজনরা এসে দেখেন সাহিদা ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তারা আরও জানান, সাহিদার বাবা মিজানুর রহমান বাহরাইনে থাকেন। তার সৎমা মুন্নি বেগম কারও সঙ্গে পরামর্শ না করেই নিজের মতো করে তার নিকটাত্মীয় আল আমিনের সঙ্গে বিয়ে দেন।
নববধূ সাহিদার স্বামী আল আমিন বলেন, শনিবার রাতের খাবার শেষে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। রোববার সকালে নানি শাশুড়ি খুরশিদা বেগমের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার স্ত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকে আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের বাকবিতণ্ডা হয়নি। সে বিয়ের দিন থেকে চুপচাপ ছিল। কী কারণে আত্মহত্যা করেছে আমার জানা নেই।
সাহিদার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, আমার বোন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। সে অনেক মেধাবী ছিল। প্রায় ৮ বছর আগে আমার মা মারা যান। এরপর আমার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। আমার সৎমা মুন্নি বেগম কারও সঙ্গে পরামর্শ না করেই শুক্রবার বোনকে সৎমায়ের নিকটাত্মীয়ের কাছে বিয়ে দেন। এ বিয়েতে আমার বোনের মত ছিল না। এ জন্য আমার বোন আত্মহত্যা করেছে।
সাহিদা আক্তারের সৎমা মুন্নি বেগম বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সাহিদা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কেন বাল্যবিয়ে দিলেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি চুপ থাকেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কেএস/