গর্ভে সন্তান নিয়ে মিশরের নারী লড়লেন অলিম্পিকে
চমকে দিলেন মিশরের এক অ্যাথলেট! তৃতীয়বারের মতো অলিম্পিকে এসেছেন নাদা হাফেজ। খেলে থাকেন ফেন্সিংয়ে। পাশাপাশি পেশায় তিনি চিকিৎসক। এবার গর্ভে সাত মাসের সন্তান নিয়ে নাদা অলিম্পিকে খেলতে এসেছেন।
নাদা হাফেজ নিজেই এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেষ ষোলোর ম্যাচ হারের পর।
নিজের প্রথম ম্যাচ দারুণভাবে জিতে নিয়েছিলেন নাদা। যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ তার্তাকোভেস্কির বিপক্ষে ১৬-১৩ পয়েন্টের ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করেন এই মিশরীয়। নাদা ৪১ নম্বর র্যাংকে অবস্থান করছেন। আর ওদিকে তার প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথের অবস্থান র্যাংকে ছিল ৭ নম্বর।
তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিযোগী হা-ইয়াং জিওনের বিপক্ষে পরাজয় স্বীকার করতে হয় নাদার। এখানে পয়েন্টের ব্যবধান ছিল ১৫-৭।
এর আগে ২০১৬ ও ২০২০ অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন নাদা। এবারের অলিম্পিকে বিদায়ের পর বেশ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। দর্শকদের থেকেও করতালি ভেসে উঠতে থাকে। সবকিছুর কারণ বোঝা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া নাদার একটি পোস্ট থেকে।
ইন্সটাগ্রামে দেওয়া সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'পোডিয়ামে আপনারা দুইজন খেলোয়াড়কে দেখলেও আসলে ছিলাম তিনজন! আমি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ও পৃথিবীতে আসার অপেক্ষায় থাকা আমার ছোট্ট সন্তান।'
নাদা জানিয়েছেন, এবার তার সাথে ছোট্ট এক অলিম্পিয়ানও আছে। তিনি লিখেছেন, 'গর্ভাবস্থার এই রোলারকোস্টার যাত্রা বেশ কঠিন ছিল। কিন্তু জীবন ও খেলাধুলার ভারসাম্য ঠিক রাখার লড়াই আমার জন্য কম তীব্রতর ছিল না। আমার কাছে এটা খুব মূল্যবান।'
নাদা ধন্যবাদ জানিয়েছেন তার স্বামী ও পরিবারকে, 'আমি ভাগ্যবান যে আমার স্বামী (ইব্রাহিম ইহাব) ও পরিবারের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি এবং তাদের সমর্থনে এত দূর আসতে পেরেছি।'
এম এইচ//