ভ্যানচালক হত্যাকাণ্ড: ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল
কুষ্টিয়ার ভ্যানচালক আবু বক্কর সিদ্দিক হত্যা মামলায় ছয় আসামির মধ্যে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বাকী এক আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এক আসামি পলাতক থাকায় তার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. হাফিজুর রহমান খান।
২০১২ সালের ১০ জুন সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখি ইউনিয়নের জোতপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বাড়িতে ভ্যান রেখে চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। রাত ১০টার দিকে দিকে আসামিরা আবু বক্করকে ডেকে পাশের মাঠে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও পুরুষাঙ্গ কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরদিন সকাল ৭টার দিকে জোতপাড়া কাঞ্চিখালি মাঠ থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক রেজা আলমগীর হাসান ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- সাজ্জাদ, মাজেদ, শুকচাদ, রাশিদুল ইসলাম, কালাই ও মনছের আলী। আসামি রাশিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত জানান, ডেথ রেফারেন্স এবং আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ সার্বিক বিবেচনায় এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ বিবেচনায় কালাই ওরফে জলিলের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। অপর ৫ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন করেন।
তাসনিয়া রহমান