কোটা আন্দোলন: ১৫৮ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয়ক টিম গঠন
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, হত্যা, নির্যাতনে জোরদার হয়েছে আন্দোলন। ফলে বর্ধিত ১৫৮ সদস্য বিশিষ্ট নতুন সমন্বয়ক টিম ঘোষণা করেছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। সেই সঙ্গে আন্দোলনের সুবিধার্থে সামনের দিনে সারা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়কদের নিয়ে সমন্বয়ক টিম বর্ধিত করা হবে বলেও জানানো হয়।
শনিবার (৩ আগস্ট) সমন্বয়ক রিফাত রশিদ এক ফেসবুক বার্তায় এই কমিটি প্রকাশ করেন।
রিফাত রশিদ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্মমভাবে চালানো গণহত্যার বিচার, দায়ীদের পদত্যাগ এবং গ্রেপ্তারকারীদের মুক্তির দাবিতে সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে ১৫৮ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয়ক টিম গঠন করা হলো।’
রিফাতের প্রকাশিত বার্তায় দেখা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রকাশিত কমিটিতে সমন্বয়ক রয়েছেন ৪৯ জন। আর সহ-সমন্বয়ক রয়েছেন ১০৯ জন। সমন্বয়ক কমিটিতে যাদের নাম রয়েছে তারা সকলেই ঢাকাসহ দেশের প্রথমসারির সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এতে ১নং সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন নাহিদ ইসলাম। এরপর রয়েছে সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, মো. মাহিন সরকার ও আব্দুল কাদেরের নাম। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে অন্য সমন্বয়কদের নাম।
গেলো বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সারাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং জেলা শহরে সমন্বয়ক কমিটি গঠন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। সেদিন বেশকিছু কলেজ এবং জেলা শহরের সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
এর আগে ৮ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন সমন্বয়ের উদ্দেশ্যে ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয়ক কমিটি প্রকাশ করেছিলেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করে হত্যার প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শনিবার (০৩ আগস্ট) সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার (০৪ আগস্ট) থেকে অনির্দিষ্টকালের ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার (০২ আগস্ট) রাত ৮টায় ফেসবুক পোস্ট ও ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ও সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশিদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের প্রেরিত এক বার্তায় শুক্রবার সারা দেশে ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ নামে নতুন কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গেলো ১৬ জুলাই থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকে। এসব ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ১৫০ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংখ্যা দুই শতাধিক বলে দাবি করা হচ্ছে।
এসি//