আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যাওয়ায় ঘটককে কু পিয়ে হত্যা

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের মানাজি গ্রামের আব্দুল জলিল, তিনি কাজ করতেন ইলেকট্রনিক্স দোকানের কর্মচারী হিসেবে। মাঝে মধ্যে ঘটকালির কাজও করতেন। চার বছর আগে স’মিল শ্রমিক আলমাসের বিয়ের ঘটক ছিলেন তিনি।

আলমাসের চার বছরের দাম্পত্য জীবনে বনিবনা না হওয়ায় বছরখানেক আগে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যায়। ঘাতক আলমাস সেই রাগে ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করলেন ঘটক জলিলকে।

স্থানীয়রা জানায়, আলমাস প্রায় চার বছর আগে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের রত্ন আটা গ্রামের ডলি আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের দুই বছর বয়সি এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ওই বিয়ের ঘটক ছিলেন জলিল। বিয়ের পর থেকে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। বছর খানেক আগে শিশু সন্তান রেখে ডলি তার বাবার বাড়ি চলে যান। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে ঘটক জলিলকে বারবার অনুরোধ করেন আলমাস। কিন্তু জলিল সমাধানে ব্যর্থ হলে তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে আলমাস। 

আলমাসের মামা আল আমীন জানান,  আলমাস ও ডলির মধ্যে ডিভোর্স হয়ে গেছে। ভালো পরিবারে বিয়ে না করতে পেরে আলমাসের রাগ-ক্ষোভ ছিল জলিলের উপর।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রী চলে যাওয়ায় ঘটকের উপর ক্ষোভ ঝেরেছেন আলমাস। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আলমাসকে গ্রেপ্তারে করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন