আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

গেলো ১৫ বছরে নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে : রুমিন ফারহানা

নির্বাচনব্যবস্থা গেলো ১৫ বছরে ধ্বংস করা হয়েছে । ধ্বংস করা হয়েছে সমাজের মূল্যবোধের মতো বিষায়গুলো। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দলীয়করণ করা হয়েছে। এককক্ষীয় সংসদীয় ব্যবস্থায় ক্ষমতায় এলেই সংখ্যাগরিষ্ঠ দল স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে। তাই আমরা কেবল ক্ষমতার পরিবর্তন হলে মৌলিক পরিবর্তন হবে বলে বিশ্বাস করি না। এর জন্য পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থার মেরামত দরকার। তাই সব ছোট বড় রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ গড়ে তুলব। বললেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।

আজ শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীতে ‘জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনপরবর্তী জাতীয় সরকার এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদ অপরিহার্য’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রুমিন ফারহানা বলেন, একটি গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থায় আন্দোলন এবং একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের আন্দোলন কখনই এক রকম হয় না। আওয়ামী স্বৈরশাসক পুলিশ না থাকলে কতক্ষণ মাঠে টিকে থাকবে সেটিই বড় প্রশ্ন। বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ ব্যক্তিদের নিয়ে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা এখন সময়ের দাবি। পৃথিবীর উন্নত ও অনুসরণযোগ্য অধিকাংশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রচলন রয়েছে। তাই বাংলাদেশে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গড়ে তোলা জরুরি।

তিনি বলেন, “এদেশের নির্বাচন কাঠামোকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এমনকি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দিনের ভোট রাতে করা হয়। নির্বাচন কমিশন বলেন, গোপনকক্ষে যে ভূত দাঁড়িয়ে থাকে, তারাই হচ্ছে নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন কমিশনই প্রমাণ করেছে, এ দেশের নির্বাচন বলতে কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই”।

মেঘ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন