জাতীয়

রাজধানীর ২৯ থানায় কার্যক্রম শুরু

রাজধানীর গুলশান থানার সামনে পাঁচ সেনাসদস্য দায়িত্বপালন করছেন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশান থানার সামনে পাঁচ সেনাসদস্য দায়িত্বপালন করছেন। ভেতরে দেখা গেল, উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন মিয়া চেয়ারে বসে কাজ করছেন। শুধু গুলশান ও তেজগাঁও থানায়ই নয়, তিন দিন বন্ধ থাকার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ২৯ থানায় সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসময় সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাহারায় পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্মস্থলে যোগ দেন।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ওই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। তেজগাঁও থানার পুলিশ সদস্যরাও কাজে যোগ দিয়েছেন। বেলা ১টা পর্যন্ত ওই থানায় তিনটি জিডি করা হয়েছে।

জানা যায়, যেসব থানায় হামলা হয়নি বা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আর যেসব থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, সেসব থানায় পুলিশ সদস্যরা এলেও সেখানে পুলিশের বসার মতো অবস্থা ছিল না। তাই ডিএমপির ২১ থানায় এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।

যে ২৯ থানায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে, গুলশান, তেজগাঁও,  বাড্ডা, শাহবাগ, নিউমার্কেট, রমনা, কলাবাগান, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, কোতোয়ালি, চকবাজার, সূত্রাপুর, ডেমরা, গেন্ডারিয়া, মতিঝিল, সবুজবাগ, শাহজাহানপুর, শেরেবাংলা নগর, হাতিরঝিল, শাহ আলী, কাফরুল, ভাষানটেক, দারুসসালাম, রূপনগর, ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, উত্তরা পশ্চিম, উত্তরখান ও বিমানবন্দর থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

গুলশান থানার এসআই মামুন মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুর ১২টা পর্যন্ত পারিবারিক ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়েছে। দেখা গেল, আরও কয়েকজন ব্যক্তি জিডি ও মামলার জন্য অপেক্ষা করছেন।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে গুলশান থানায় হামলা হয়নি। আজ থেকে তাঁদের থানায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত সোমবার বিকেল থেকে রাজধানীর অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়। এরপর পুলিশি ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন