জাতীয়

আওয়ামী লীগ প্রশ্নে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগে অনেক বড় পার্টি। দেশের জন্য আওয়ামী লীগের অনেক অবদান রয়েছে। আই হ্যাভ লট অব রিসপেক্ট ফর আওয়ামী লীগ। একসময় বাঙালিদের ভরসার জায়গা ছিল এই পার্টি। বায়ান্ন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলন স্বাধীনতা আন্দোলনের অবদান ব্যক্তিগত কোনো কারণে নষ্ট করবেন না। এটা জাতীয় সম্পদ। আপনারা আসুন। যারা রেগুলার করতে চান এখানে মারামারি করে লাভ নেই। বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

আজ সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আহত আনসার সদস্যদের দেখতে গিয়ে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘লোক জড়ো করুক আর যাই করুক, এমন কিছু করবেন না যাতে আপনার জীবন বিপন্ন হয়। কারণ দেশের মানুষ আপনাদের গ্রহণ করতে আসেনি। আমি বরং মনে করি আপনারা আপনাদের পার্টির রিঅর্গানাইজড করেন। বাংলাদেশে এই পার্টির অনেক অবদান আছে। আমরা এটা অস্বীকার করতে পারি না। পার্টিকে রিঅর্গানাইজড করেন, পলিটিক্যাল পার্টির মতো যেভাবে থাকে। ইলেকশন আসলে ইলেকশনে কনটেস্ট করুন। জনগণ ভোট দিলে ভোটে যাবেন। তবে প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখলে হাজার-হাজার মানুষের রক্ত ঝরবে।

তিনি বলেন, আমরা আরও কিছু লোকের মৃত্যু চাই না। অলরেডি ৪০০ থেকে ৫০০ হয়তো তারও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আমরা যদি উস্কানি দিতাম তাহলে আপনারা টিকতে পারতেন না আর্মি ফায়ারে। আমরা আর্মিকে নিষেধ করেছি। বলেছি ডন্ট ওপেন ফায়ার। কারণ আপনি কাকে মারবেন। পুলিশকে দিয়ে কাকে মেরেছেন। পুলিশকে দিয়ে মেরেছেন আপনার সন্তানকে। ব্যক্তিগত স্বার্থ আপনারা এতোবড় একটা দলকে নষ্ট করবেন না। এটা আমাদের প্রাইড ছিল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এটা নষ্ট করবেন না। আপনার নষ্ট করার কোনো অধিকার নেই। এটা বাংলাদেশের সম্পত্তি। কেউ যদি মনে করেন আবার কাউন্টার রেভ্যুলেশন করে আসবেন। তা করতে হলে আপনাকে হাজার হাজার লোকের রক্ত বহাইতে হবে। 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগামী সোমবারের মধ্যে লুট করা অস্ত্র থানায় জমা দিতে হবে। তারপর পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ অস্ত্র যেগুলো বাইরে পাওয়া যায় না, যেগুলো সিভিলিয়নদের হাতে যাওয়াও কথা না, সেটার অথোরাইজ পুলিশ, র‌্যাবকে করা হয়েছিল। সেই অস্ত্র কীভাবে এদের হাতে গেল। একটা সিভিলিয়ান ছেলে ৭.৬২ হাতে নিয়ে চলে গেছে। তার মানে এই রাইফেল আর ফেরত আসেনি। একটা দেশে এটা হতে পারে। এ কেমন কথা। আমি এমন স্বৈরাচার ব্যবস্থা দেখিনি।

তিনি বলেন, যাদের হাতে এই অবৈধ অস্ত্র আছে আগামী সাতদিনের মধ্যে তারা নির্দিষ্ট থানায় জমা দেবেন। যদি জমা না দেন তাহলে দুইটা চার্জ লাগবে। একটা অবৈধ অস্ত্র, আরেকটা সরকারি নিষিদ্ধ অস্ত্র আপনাদের হাতে। সেটার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতেও যাওয়া যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বড় পরিসরে তদন্ত করা দরকার, সিভিল ড্রেসে কারা আনসার এলাকায় গিয়ে তাদের ওপর ফায়ার করল, এটা খুবই মারাত্মক ও উদ্বেগজনক।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন