ক্রিকেটারদের রাজনীতির রাস্তা বন্ধ হওয়া উচিত, বললেন গাজী আশরাফ
খেলোয়াড়দের রাজনীতিতে আসার ঘটনা বাংলাদেশে এখন আর নতুন কিছু নয়। খেলোয়াড়ি জীবন শেষ না করতেই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা, সাকিব আল হাসান। রাজনীতির সাথে খেলোয়াড়দের থাকা প্রসঙ্গে আজ (সোমবার) মিরপুরে কথা বলেছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
সোমবার (১২ আগস্ট) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন গাজী আশরাফ হোসেন।
এর আগে রবিবার (১১ আগস্ট) মিরপুরে কথা বলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহান। গাজী আশরাফ চলমান পরিস্থিতি, ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে আসা ইত্যাদি প্রসঙ্গে বলেন, ‘গতকাল হয়তো সোহান (নুরুল হাসান) বলেছে। একই সঙ্গে আমি যোগ করতে চাই, সংস্কার দুই জায়গায়ই হতে হবে। একটা খেলোয়াড়ের জন্য যেমন, জাতীয় দলের সঙ্গে থাকাকালে তিনি রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারবেন কি না…তার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোরই বা উচিত কি না যে একটা জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে দলে নেওয়া। তাঁরা তো দেশের জন্যই কাজ করেন। ইটস নট আ ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক। আপনি শুধু খেলোয়াড়কে দোষ দিতে পারবেন না।’
নিজের ব্যক্তিগত জায়গা থেকে গাজী আশরাফ জানান, ‘যদি খেলা থাকে এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থাকে, তাহলে আপনি কোনটাকে অগ্রাধিকার দেবেন। একটা নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা যদি থাকে, তাহলে মনে হয় ভালো। তাহলে কোনো খেলোয়াড় রাজনীতিতে যাওয়ার আগে চিন্তা করবেন, তাঁর অগ্রাধিকার কোথায়। এই রাস্তাটা মনে হয় বন্ধ হওয়া উচিত।’
কিছুদিন আগে বিসিবিতে নিয়োগ পাওয়া এই প্রধান নির্বাচক যোগ করেন, ‘আপনি যদি জাতীয় সম্পদ হন, আপনাকে সে পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক লগ্নি থাকে। তারপর খেলোয়াড় হিসেবে আপনার দেশকে যখন আরও অনেক কিছু দেওয়ার থাকে, তখন আপনি যদি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেন…হ্যাঁ আপনি যদি আগে থেকেই বিল্ডআপ করে থাকেন, সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু আপনি যদি আপনার বর্তমান অবস্থানের কারণে শিফট হয়ে যান, সেটা হলে দেশই বঞ্চিত হয়।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রবল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরে অস্থিরতা দেখা দেয় এবং পরিবর্তনের প্রসঙ্গ ওঠে।
এম এইচ//